ব্যুরো নিউজ,৩ জানুয়ারি:আমাদের সমাজে স্বাস্থ্য পরিষেবা দ্রুত পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে মুমূর্ষু রোগীদের জন্য। এই প্রেক্ষাপটে একটি নতুন এবং চমকপ্রদ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অনলাইন পণ্য সরবরাহকারী সংস্থা ব্লিঙ্কিট। সংস্থার সিইও অলবিন্দর ধিন্দসা সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের নতুন অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা এখন গুরুগ্রামে চালু করা হয়েছে। এই পরিষেবার মূল উদ্দেশ্য হলো, মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্স রোগীর কাছে পৌঁছে যাওয়া। এখন থেকে, আর দীর্ঘ সময় ধরে অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না!
কি জানিয়েছেন?
ব্লিঙ্কিটের সিইও অলবিন্দর ধিন্দসা জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বরের পর তাদের সংস্থার সর্বোচ্চ অর্ডার পাওয়ার পর তারা স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রেও কাজ শুরু করতে চায়। এই নতুন পরিষেবার সূচনা হলে, এটির সুবিধা যে শুধু গুরুগ্রামেই পাওয়া যাবে তা নয়, আগামী দু’বছরের মধ্যে ভারতের অন্যান্য শহরেও এটি প্রসারিত হবে।প্রথমে মাত্র পাঁচটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে শুরু হলেও, ব্লিঙ্কিটের পরিকল্পনা রয়েছে এই পরিষেবা বাড়ানোর। অ্যাম্বুল্যান্স বুকিং অ্যাপের মাধ্যমে করা যাবে, যা তাদের অন্যান্য পরিষেবার মতো সহজে ব্যবহারযোগ্য। ব্লিঙ্কিটের অ্যাম্বুল্যান্সে থাকছে সমস্ত জরুরি জীবনদায়ী ব্যবস্থা, যেমন অক্সিজেন সিলিন্ডার, অটোমেটেড এক্সটারনাল ডেফিব্রিলেটর (এডি), স্ট্রেচার, মনিটর, সাকশন মেশিন এবং জরুরি ওষুধ ও ইনজেকশন। প্রতিটি অ্যাম্বুল্যান্সে একজন প্যারামেডিক এবং তার সহকারী স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও প্রশিক্ষিত চালক থাকবেন, যারা রোগীকে দ্রুত এবং নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন।
স্পিড ব্রেকারের ঝাঁকুনিতে মড়া উঠল বেঁচে? শ্মশানের পথে ঘটল ‘মিরাক্ল’!
অলবিন্দর ধিন্দসা আরও জানিয়েছেন, এই পরিষেবার মূল উদ্দেশ্য লাভের দিকে মনোযোগ না দিয়ে মানুষের উপকারে আসা। তারা চান, ভবিষ্যতে আরো অনেক মানুষ এই পরিষেবার মাধ্যমে উপকৃত হোক। তবে, তিনি উল্লেখ করেছেন যে ব্লিঙ্কিট কোনো তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে এই পরিষেবার বিস্তার করতে চায়, কারণ এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ক্ষেত্র এবং ব্লিঙ্কিটের এই ধরনের পরিষেবার অভিজ্ঞতা নেই। শেষে অলবিন্দর ধিন্দসা একটি বার্তা দিয়েছেন, তিনি বলেছেন, “আমরা সবসময়ই অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করি, কারণ সেটি হয়তো কোনও একটি অমূল্য প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।” এই পরিষেবা ভবিষ্যতে অনেক মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, এমনটাই আশা ব্লিঙ্কিটের সিইওর।