ব্যুরো নিউজ,১৭ নভেম্বর:বীরভূমের একসময়ের নিরঙ্কুশ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষমতা কি ক্ষয়ে যাচ্ছে? তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কোর কমিটি এবং নেতৃত্বের মধ্যে গঠিত নিয়মাবলির জন্য এই প্রশ্ন উঠছে।অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি এবং দীর্ঘদিনের হাজতবাসের জেরে বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্বের চালচিত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূমে কোর কমিটি গঠন করেছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন বিকাশ রায়চৌধুরী। আর কাজল শেখ ও তার অনুগামীরা। সেই সময়ে বীরভূম জেলা পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জেলায় তৃণমূলের শক্তি বজায় রাখতে সক্ষম হন তারা।
মোদীর নাইজেরিয়া সফরঃ ভারত-নাইজেরিয়ার সম্পর্কের নতুন দিগন্ত
কোর কমিটিতে অনুব্রতর অন্তর্ভুক্তি
শনিবার বীরভূমে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কোর কমিটির বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডলকে কোর কমিটির সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের নির্দেশ দেন বিকাশ রায়চৌধুরীকে। কিন্তু এখানে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, একসময় বীরভূমে “শেষ কথা” হিসেবে পরিচিত অনুব্রত এখন কেবলই কোর কমিটির একজন সাধারণ সদস্য।
নতুন নিয়মাবলি এবং ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা
বেলডাঙায় হিন্দু নিধনের অভিযোগ, মমতাকে আক্রমণ সুকান্তের
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে কোর কমিটির সাধারণ সদস্যরা যেকোনো এলাকায় যেতে চাইলে, সেই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকে আগে জানাতে হবে। একইসঙ্গে, প্রশাসনিক পদে থাকা কাজল শেখ ও চন্দ্রনাথ সিংহকেও তাদের এলাকায় যাওয়া আগে বিকাশ রায়চৌধুরীকে জানাতে হবে।কাজল শেখ এখন জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। অন্যদিকে, বিকাশ রায়চৌধুরী কোর কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে বহাল আছেন। এই নতুন ক্ষমতার বণ্টনে অনুব্রত মণ্ডলের একাধিপত্য স্পষ্টতই ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদে থাকা সত্ত্বেও অনুব্রত মণ্ডল কি আগের মতোই প্রভাবশালী থাকবেন? নাকি নতুন নিয়মের ঘেরাটোপে তার ক্ষমতা কার্যত সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে?