ব্যুরো নিউজ,২২ নভেম্বর:তিহাড় জেল থেকে মুক্তির পর বীরভূমে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর তিনি ফেরার পর থেকেই তৃণমূলের অন্দরে এক উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সব থেকে বড় প্রশ্ন, বীরভূমে তৃণমূলের নেতৃত্ব কার হাতে থাকবে? যদিও এখনো এই প্রশ্নের কোনও সঠিক উত্তর মেলেনি, তবে বর্তমানে তৃণমূলের অন্দরের লড়াই প্রকাশ্যে এসেছে। অনুব্রত মণ্ডল ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার অনুগামীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ দেখা দিয়েছে, আর তার মূল কারণ হলো বোলপুরে অবস্থিত তৃণমূলের অফিস। এই অফিসটি দীর্ঘদিন ধরে চন্দ্রনাথ সিনহার অধীনে ছিল, কারণ অনুব্রত মণ্ডল জেলে ছিলেন। কিন্তু এখন, অনুব্রত ফিরে আসার পর সেই অফিসটি দখল করার চেষ্টা চলছে কেষ্ট অনুগামীরা।এই দখলদারি নিয়ে বীরভূমে নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
আদানি কাণ্ডে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো ক্ষতি হবে না, দাবি আমেরিকার হোয়াইট হাউসের
সম্পর্ক কি সত্যিই নষ্ট হয়ে গেছে?
এদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরেই অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত, যখন অনুব্রত জেল থেকে ফিরে আসেন, তখন তার সঙ্গে দেখা করতে অনেক তৃণমূল নেতা এবং জনপ্রতিনিধি গিয়েছিলেন। কিন্তু বেশিরভাগকেই ফিরতে হয়েছিল।সেই মুহূর্তে বোঝা গিয়েছিল, অনুব্রত মণ্ডল যদিও জেলে ছিলেন, তবুও তিনি বীরভূমের সব খবর রাখছিলেন। চন্দ্রনাথ সিনহার অফিস দখলের বিষয়ে বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। তবে, এমন নয় যে এই পরিস্থিতি একদিনেই মিটে যাবে। অনেকেই মনে করছেন, বীরভূমে কার শক্তি বেশি, তা নিয়ে এক নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। দুটি শক্তিশালী নেতৃত্বের মধ্যে এই লড়াই চলবে, তবে তাদের প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
মমতার কাছে গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টঃ তৃণমূল কংগ্রেসে কি বড় রদবদলের সম্ভাবনা?
অপরদিকে সেপ্টেম্বরের শেষের, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী সকাল থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনে অপেক্ষা করছিলেন, কিন্তু তারা বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর তারা ফিরে যান। আর সেই সময়, অন্য একজন তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ প্রায় এক ঘণ্টা অনুব্রতের বাড়িতে কাটিয়ে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কথোপকথনও হয়েছিল, যা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল।এখন প্রশ্ন উঠছে, চন্দ্রনাথ সিনহাদের সঙ্গে কেষ্ট মণ্ডলের সম্পর্ক কি সত্যিই নষ্ট হয়ে গেছে? নাকি এটা কাকতলীয় ঘটনা? এসব নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।তবে একটি বিষয় পরিষ্কার, বীরভূমে তৃণমূলের নেতৃত্ব নিয়ে যে লড়াই চলছে, তা এখন তীব্রতর হয়েছে।