ব্যুরো নিউজ,২৮ নভেম্বর:বাঘের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক অদ্ভুত। কিছু ভয়, কিছু রহস্য, আর কিছু উৎসাহ। এই সম্পর্কের অনেকটাই গড়ে উঠেছে চিরন্তন বাঘের গল্প, সিনেমা ও গানে। তবে ভয় বা আতঙ্ক থাকলেও, বাঘ দেখার আকাঙ্ক্ষা কমে না। চিড়িয়াখানায় বাঘ দেখাটা তো পুরনো, আজকাল মানুষ তাদের প্রকৃত বাসভূমিতে গিয়ে সাফারি করতে চায়। বাঘ বা অন্যান্য বন্যপ্রাণীকে স্বাভাবিক পরিবেশে চলাফেরা করতে দেখে এক ভিন্নরকম ভাললাগা কাজ করে। সাফারি এখন অনেকের ট্রাভেল ডেস্টিনেশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।ভারতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে জঙ্গল সাফারি করা যায়।
আসুন, দেখে নিই দেশের কিছু জনপ্রিয় সাফারি স্পট
বঙ্গোপসাগরে ফেনজলের দাপট, তামিলনাড়ুতে আঘাত হানার সম্ভাবনা
১. রানথাম্বোর ন্যাশনাল পার্ক (রাজস্থান):
রানথাম্বোর দেশের অন্যতম বৃহত্তম টাইগার রিজার্ভ সেন্টার।এই পার্কে টাইগার সাফারির পাশাপাশি বহু পুরনো দুর্গ, মন্দির এবং ভাষ্কর্যও রয়েছে, যা ঘুরে দেখার এক অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে পারে। এটি তাই এক জনপ্রিয় ট্যুর ডেস্টিনেশন।
২. বান্ধবগড় ন্যাশনাল পার্ক (মধ্যপ্রদেশ):
মধ্যপ্রদেশের এই পার্কে দেশের সবচেয়ে বেশি বাঘের বাস। তাই এখানে সাফারি করতে গেলে বাঘের দেখা পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। বাঘপ্রেমীদের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান।
৩. কানহা ন্যাশনাল পার্ক (মধ্যপ্রদেশ):
‘দ্য জাঙ্গাল বুক’ বইটি যেখান থেকে অনুপ্রাণিত, সেই কানহা ন্যাশনাল পার্ক। এটি এক বিশাল জঙ্গল, যেখানে সবুজে ঘেরা পরিবেশ এবং বাঘ ছাড়াও বিভিন্ন পশু-পাখির দেখা পাওয়া যায়। এখানে লেপার্ডও দেখা যেতে পারে।
৪. তাডোবা আন্ধারি টাইগার রিজার্ভ (মহারাষ্ট্র):
দেশের অন্যতম সেরা টাইগার রিজার্ভ এবং সাফারি ডেস্টিনেশন হলো তাডোবা। এখানে সাফারি করতে গেলে একেবারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পাবেন, এবং বাঘের দেখা মেলা প্রায় নিশ্চিত।
দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখার প্রাথমিক উপায় হল টুথব্রাশের সঠিক যত্ন
৫. সুন্দরবন ন্যাশনাল পার্ক (পশ্চিমবঙ্গ):
সুন্দরবন, যা ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে পরিচিত, এখানকার ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেম বিশ্বের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এখানে পায়ে হেঁটে বা জলপথে সাফারি করে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা পাওয়া সম্ভব।
৬. জিম কর্বেট ন্যাশনাল পার্ক (উত্তরাখণ্ড):
১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পার্কটি ভারতের অন্যতম প্রাচীন। এটি শুধু বাঘের জন্য নয়, এখানে হাতি এবং লেপার্ডেরও দেখা মেলে। বহু সিনেমা এবং গল্পে এর উল্লেখ রয়েছে।
৭. পেঞ্চ ন্যাশনাল পার্ক (মধ্যপ্রদেশ):
‘দ্য জঙ্গল বুক’-এর পেছনে অনুপ্রেরণা ছিল এই পার্ক। এখানে বাঘের দেখা পাওয়া ছাড়াও, বিভিন্ন পাখির ডাক এবং গাছপালায় ঘেরা জঙ্গল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা দেয়।
মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তায় ইসরোর প্রযুক্তিতে তৈরি উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্র
৮. পান্না ন্যাশনাল পার্ক (মধ্যপ্রদেশ):
পান্না ন্যাশনাল পার্কে শুধুমাত্র বাঘই নয়, অন্যান্য নানা বন্যপ্রাণীও দেখা যেতে পারে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ সাফারি করার এক চমৎকার জায়গা।
ভারতের এই সাফারি ডেস্টিনেশনগুলো শুধুমাত্র বাঘের দেখা পাওয়া নয়, প্রকৃতির মাঝে এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভেরও সুযোগ দেয়। সাফারির জন্য এগুলি একটি আদর্শ স্থান হতে পারে।