ব্যুরো নিউজ,১৫ নভেম্বর:গত বৃহস্পতিবার বারাসতে সিটি সিভিল কোর্টের আইনজীবী বন্দনা মাইতির অকাল মৃত্যু ঘটেছে। কাজের ব্যস্ততার মাঝে, মামলার দুশ্চিন্তা নিয়ে তিনি রেললাইন পার করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনাক্রমে, ট্রেনের তলায় চাপা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার এই মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বারাসত বার কাউন্সিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।আইনজীবীরা দাবি করেছেন, বন্দনাদেবীর মৃত্যুর জন্য কোর্টের অব্যবস্থাকেই দায়ী করা হচ্ছে। এক সাংবাদিক বৈঠকে বার অ্যাসোসিয়েশন জানায়, রেললাইনটি আইনজীবীদের জন্য এক বিপজ্জনক বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, আদালত কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আইনজীবীদের রেললাইন পার হয়ে যেতে হয়। প্রশাসনিক ভবন এবং ক্রেতাসুরক্ষা আদালত একে অপরের কাছাকাছি থাকলেও, রেললাইন পার হয়ে যেতে হয় আইনজীবীদের, যা প্রায়ই বিপদজনক হয়ে ওঠে।
তুলসী গ্যাবার্ডকে নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছাঃ ‘নির্ভীক নেতৃত্বে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান’
আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে কি?
আইনজীবীরা জানান, রেললাইন পেরিয়ে আদালতে যাওয়ার জন্য একাধিক বার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবে সেসব আবেদন গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়নি। এই অবস্থার পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত বার কাউন্সিল অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের কাজ বন্ধ রাখবে।আইনজীবীরা আরও দাবি করেছেন, ক্রেতাসুরক্ষা আদালত এমনিতেও ভুল জায়গায় অবস্থিত। আদালত যদি প্রশাসনিক ভবনে চলে আসত, তবে আইনজীবীদের জন্য সুবিধাজনক হত এবং তারা নিরাপদে চলাচল করতে পারতেন। এর আগেও এই দাবিটি উত্থাপন করা হলেও, কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি।
গুরু নানক জয়ন্তী উপলক্ষে ব্যাংক ও স্টক মার্কেটে ছুটি
বার কাউন্সিলের প্রবীণ সদস্যরা জানান, আইনজীবীদের নিরাপত্তার বিষয়টির অগ্রাধিকার হওয়া উচিত, কারণ একাধিক মামলা এবং গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের জন্য আইনজীবীদের যথাযথ পরিবহণের ব্যবস্থা প্রয়োজন।তাই তারা আইনজীবীদের জীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা আশাবাদী, কর্তৃপক্ষ উচ্চস্তরে তাদের দাবিগুলি জানালে অবস্থা পরিবর্তন হবে।এখন দেখা যাক, আইনজীবীদের দাবি মেনে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয় কি না, এবং এই ঘটনার পর আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কতটুকু পরিবর্তন আসে।