ব্যুরো নিউজ,৬ আগস্ট: প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তেই সূর্যোদয় দেখতে চলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। বিভিন্ন অভিযোগে টানা ৬ বছর জেলবন্দি ছিলেন খালেদা। তারপর হাসিনা জমানা শেষ হতেই সোমবার রাতে বিএনপি নেত্রী খালেদাকে অবিলম্বে জেল মুক্তি করার নির্দেশ দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন।
দীর্ঘ জেলবন্দি জীবন থেকে মুক্তি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার
পদ্মাপাড়ের দেশে কড়া নজর মোদি সরকারের, সর্বদল বৈঠক, সংসদে ব্যাখ্যা দিতে পারেন জয়শঙ্কর
শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা। তার স্বামী জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। রাজনৈতিক কারণেই তিনি খুন হওয়ার পর রাজনীতির ময়দানে সক্রিয়ভাবে নামেন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর ২০০১ সালে খালেদা জিয়া দ্বিতীয়বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন। আর সেই মেয়াদে তিনি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তকমা পায়। তারপরেই ধীরে ধীরে বাংলাদেশ অশান্তির বাতাবরণে প্রবেশ করতে শুরু করে। ২০০৬ সালে জিয়ার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ২০০৭ এ সাধারণ নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঠিক সেই সময়েও তদারকি সরকার হিসেবে সেনাবাহিনী দায়িত্ব নেয়। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। এবং দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগের বিচার শুরু হয়।
হাসিনা জমানার ইতি,তবুও থামেনি হিংসা, হিন্দু সুরক্ষায় সেনার পদক্ষেপ
২০১৮ সালে বিচার পর্ব শেষ হওয়ার পরে খালেদা জিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জেলে থাকাকালীন অবস্থাতেই তিনি অসুস্থ হন। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০২১ সালে। অসুস্থতার কারণে জেল আর হাসপাতালেই তার দিন কাটতে থাকে। অবশেষে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর খালেদা জিয়ার জেল মুক্তি ঘটলো। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের বিএনপি দল সহ খালেদা জিয়ার পরিবার আনন্দিত। ছাত্র আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া সমস্ত ছাত্র নেতাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেনাপ্রধানের বৈঠকে। আর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার থেকেই বাংলাদেশে সমস্ত স্কুল কলেজ খুলতে পারে।