ব্যুরো নিউজ,৩ অক্টোবর:বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেন। ২৫ সেপ্টেম্বর সেখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ হয়। বাংলাদেশের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন এ সাক্ষাতের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্ব নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
ধোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ১,২০০ কিমি সাইকেল চালালেন যুবক
কেন ক্ষমা চাইতে হবে পাকিস্তানকে?
তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়, কিন্তু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনার কথা ভুলে যেতে তারা রাজি নয়। তৌহিদ হোসেন বলেন, “যদি পাকিস্তানের সরকার ১৯৭১ সালের ঘটনার কথা স্মরণ করে এবং ক্ষমা চায়, তাহলে সম্পর্ক উন্নয়নের পথ আরও সহজ হবে।”বাংলাদেশের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা আরও যোগ করেন, “সাক্ষাৎ করে আমরা গুরুত্বপুর্ণ বিষয়গুলো আলোচনা করব। তবে বর্তমান সরকার কখনও ইঙ্গিত দেয়নি যে ১৯৭১ সালের ঘটনা ভুলে যাওয়া যাবে।” তিনি জানান, বাংলাদেশের হৃদয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সবসময় বিরাজমান।
মিঠুন চক্রবর্তীর জাতীয় পুরস্কার থেকে দাদাসাহেব ফালকে, যাত্রা অব্যাহত
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকারের তরফে পাকিস্তান থেকে ৩৫ হাজার ৭.৬২ মিমি এ কে-১৫ সেকেন্ড হ্যান্ড অ্যাসল্ট রাইফেল কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) এর সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এই অস্ত্র শীঘ্রই বাংলাদেশে আসবে এবং দু’দেশের সেনাবাহিনী জঙ্গি-বিরোধী কার্যক্রমে সহযোগিতা করবে।এই প্রেক্ষাপটে, তৌহিদ হোসেনের বক্তব্য বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করছে। বাংলাদেশ সবসময় মুক্তিযুদ্ধের সময় নিরস্ত্র বাংলাদেশী জনগণের প্রতি পাকিস্তানের নৃশংসতার জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে।