bangladesh-chakma-genocide-allegations

ব্যুরো নিউজ, ২১ সেপ্টেম্বর :বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ও মুসলিম কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমাদের গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জনজাতি সংগঠন। তারা অবিলম্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে একটি স্মারকলিপি পাঠিয়েছে। শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই স্মারকলিপি পৌঁছায়।

শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কারণে টেস্ট ম্যাচে বিশ্রামের দিন

মোদীকে বার্তা

সম্প্রতি, বাংলাদেশে খাগড়াছড়ি, বান্দারবান এবং রাঙামাটির তিনটি জেলায় চাকমা এবং অন্যান্য আদিবাসী গোষ্ঠীর উপর হামলার একটি ধারাবাহিক ঘটনা ঘটেছে। গত ৭২ ঘণ্টায় অন্তত ১০ জন অমুসলিম নিহত হয়েছেন, এবং হাজারেরও বেশি বাড়িঘর, ধর্মস্থান, দোকান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে বাংলাদেশ সেনা, বিজিপি এবং র‌্যাব বাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদী দমনের অছিলায় অমুসলিমদের উপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে।

এমার্জেন্সি সিনেমার মুক্তি নিয়ে  আশঙ্কা কঙ্গনা রানাউত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের দফতর থেকে পাহাড়ের ঘটনার পর সকলকে শান্ত থাকার আবেদন করা হয়েছে। তবে, তিন জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা সত্ত্বেও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি। চট্টগ্রামের সমতল এলাকাতেও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। কয়েক দশক আগে বাংলাদেশ সেনার অত্যাচারের কারণে ত্রিপুরা ও মিজোরামে পালিয়ে আসা চাকমা, ব্রু এবং কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে নতুন করে শরণার্থীদের স্রোত আসতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।

মহাকাশে নজরদারি নিসার স্যাটেলাইটের

এখন পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে চাকমা-সহ অন্যান্য জনজাতি গোষ্ঠী ‘মার্চ ফর আইডেন্টিটি’ আন্দোলন শুরু করেছে। তাদের অভিযোগ, হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাইরের লোকজন চাকমাদের উপর হামলা চালানো, জমি দখল এবং দেশছাড়ার জন্য হুমকি দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। হামলাকারীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনার প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলে দাবি তাদের।

পার্বত্য চট্টগ্রামের কুকি-চিন জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই কুকি স্বশাসিত অঞ্চলের দাবিতে লড়াই করছে। সম্প্রতি, বাংলাদেশ সেনা এবং র‌্যাব কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের নামে নতুন অভিযান শুরু করেছে, যা কুকিদের উপর অত্যাচারের অভিযোগের জন্ম দিয়েছে।

ডেলিভারি কর্মীরা বছরে কত উপার্জন করেন? তা জানলে আপনি আবাক হবেন

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আশির দশকে সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের আমলে প্রায় ৫০ হাজার সমতলের মানুষকে পার্বত্য এলাকায় বসতি গড়ার উদ্দেশ্যে স্থানান্তর করা হয়। এই ‘সেটলার’ গোষ্ঠী আজ সংখ্যায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়ে চাকমা ও অন্যান্য জনজাতিদের অস্তিত্বকে সংকটে ফেলেছে। চাকমা সংগঠনগুলির অভিযোগ, নতুন সরকারের আমলে তাদের ‘আদিবাসী’ পরিচয়ও মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে, যা বর্তমান সংঘাতের মূল সূত্রপাতের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতি কেবল চাকমাদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশে সব ধর্মের ও জাতির মানুষের জন্য উদ্বেগজনক। মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, এই ধরনের ঘটনার অবসান ঘটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, নাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর