ব্যুরো নিউজ ১৬ নভেম্বর : কলকাতা বইমেলা যা প্রতিবছর বই ও সাহিত্য প্রেমীদের জন্য এক উৎসব হয়ে ওঠে।২০২৫ সালের কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের উপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। চলতি বছরের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া জন-ছাত্র অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার সরকার পতন হয় এবং তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন। এর পর থেকে বাংলাদেশে নতুন সরকার গঠন হয় যার নেতৃত্বে রয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে এখন অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে।
রাজ্যপাল দ্বিতীয়বার সুযোগ দিলেন রাজীব সিনহাকে?
রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ উপস্থিতি থাকবে না
প্রথমবারের মতো কলকাতা বইমেলার ইতিহাসে ২৮ বছর পর বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন থাকবে না বলে জানা গেছে। ২০২৫ সালের বইমেলার থিম দেশ হল জার্মানি। বইমেলা শুরু হবে ২৮ জানুয়ারি এবং শেষ হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। যদিও বাংলাদেশ প্রতি বছরই কলকাতা বইমেলায় নিজেদের প্যাভিলিয়ন স্থাপন করে। তবে এবারে সেই প্রবণতা ভেঙে যাচ্ছে। পাবলিশার্স অ্যান্ড গিল্ডের সভাপতি জানিয়েছেন, “উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর নির্ভরশীল। তারা যেটা সিদ্ধান্ত নেবে, তা আমরা মেনে নেব।”গত বছর কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের স্টল বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এবং এখান থেকে ভালো আয়ও হয়েছিল। তবে, রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে এই বছর বাংলাদেশে উপস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রকাশকরা নিয়মিতভাবে বইমেলায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেন, কিন্তু এবার তা কেন্দ্রীয় অনুমতির ওপর নির্ভর করছে। ২০২৫ সালের বইমেলায় অংশগ্রহণ করবে আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, পেরু, এবং জার্মানি, যা এবারের থিম দেশ। বইমেলা এই বছর সল্টলেকেই অনুষ্ঠিত হবে, এবং উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শীতে পায়ের গোড়ালি ফেটে যাচ্ছে? ঘরোয়া উপায়ে পায়ের সঠিক যত্ন নিন
এছাড়া, অন্যান্য রাজ্য যেমন দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, গুজরাট, পাঞ্জাব, বিহার, অসম, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা এবং কেরলও স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করবে। তবে, মেলার স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হবে না। ১৩০০ স্টল আবেদন করার পর, ১০৫০টি স্টলকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।