ব্যুরো নিউজ,৪ অক্টোবর:বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার, যা বাঙালি সংস্কৃতির জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। এই তালিকায় নতুন করে পাঁচটি ভাষার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার মধ্যে বাংলা অন্যতম।রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে গবেষণাপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল, যাকে মান্যতা দিল কেন্দ্রীয় সরকার।পুজোর আগে মোদির সেরা গিফট বাংলাকে।
বিদেশ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে মহুয়া মৈত্রের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে তৃণমূলের চিঠি
উচ্ছ্বাস প্রকাশ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার রাতে এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডলে বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’ মর্যাদা পাওয়ার খবরটি শেয়ার করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ‘‘অবশেষে বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত সরকার। এই খবর ভাগ করে নিতে পেরে দারুণ খুশি।’’ অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাঙালিকে এই পুরস্কার দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলে এই সিদ্ধান্তকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পটভূমিতে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিজেপি গত লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনের মধ্যে ১২টি আসন পেয়েছে, কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের প্রাপ্ত আসন ছিল ৭৭টি।
তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিজেপি এখন থেকেই বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। বাংলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বিজেপি একটি সঠিক কৌশল গ্রহণ করেছে। বাঙালি জনগণের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।বাংলার সংস্কৃতি ও ভাষার ঐতিহ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। বাংলা ভাষার এই স্বীকৃতি শুধু ভাষার সম্মান নয়, বরং আমাদের সংস্কৃতির শক্তিশালী ভিত্তির প্রতীক।