বাঙালি বারো মাসে ১৩ পর্বন লেগেই রয়েছে।তেমনি মানুষের জীবনে জ্বর সর্দি কাশি মাথা ব্যথা ইত্যাদি লেগেই রয়েছে। আর তার জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের ফার্মেসি থেকে নানান রকম ওষুধ কিনে খেতে হয়। কেন্দ্র থেকে এবার নিষিদ্ধ করা হলো প্রায় ১৫৬ টি এফডিসি ওষুধ। আপনার ব্যবহারের কোনো ওষুধের নাম কি এই তালিকায় রয়েছে? তাহলে দেখে নিন।
ওজন কমানোর বিশেষ কৌশল এবার ব্ল্যাক কফিতে কয়েকটি মসলা মিশালে উপকারিতা
আপনার খাওয়া কোন ওষুধ নিষিদ্ধ হতে চলেছে
কুমড়োর এই গুণগুলি জানলে আপনি রোজই কুমড়ো খাবেন
যেসব অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধ জ্বর সর্দি অ্যালার্জি এবং ব্যথার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং ব্যাপক ভাবে ফার্মাসিতে বিক্রি করা হত তার প্রায় কমপক্ষে ১৫৬ টি এফডিসি ওষুধ নিষিদ্ধ করলো কেন্দ্র। ২২শে আগস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্র সূত্রে খবর, জ্বর সর্দি এলার্জি এইসবের জন্য যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধগুলি রয়েছে তা মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তাই এই ওষুধগুলিকে নিষিদ্ধ করেছে। চলতি কথায় যাকে আমরা ককটেল ওষুধ হিসেবে চিনি, সেই সব ওষুধগুলো একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে দুই বা ততোধিক সক্রিয় ফার্মাসিউটিক্যাল এক ধরনের উপাদানের সংমিশ্রণে এফডিসি ওষুধ তৈরি হয়।
কনিষ্ঠতম আইসিসি চেয়ারম্যান হতে চলেছেন জয় শাহ ?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উল্লেখিত ঔষধ গুলি নিরাপদ বিকল্প পাওয়া যায়, সেখানে এই ফিক্সড ডোজ সংমিশ্রনের ওষুধের ব্যবহার মানুষের জন্য ঝুঁকিরপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক বিশেষজ্ঞ কমিটি বিষয়টি পরীক্ষা করেছে। আর কেন্দ্রে নিযুক্ত কমিটি এই এফডিসি গুলিকেই অযৌক্তিক বলে জানিয়েছেন। আরো জানা গেছে, মানুষের জন্য ঝুঁকি হতে পারে এফডিসি। জনগনের স্বার্থে , ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট, ১৯৪০ এর ধারায় ২৬ ক এর অধীনে এফডিসি গুলিকে উৎপাদন বিক্রয় বা বিতরণ নিষিদ্ধ করা জরুরী। ২৬ ক ধারার নিষেধাজ্ঞা সুপারিশ করা হয়েছে। কোন ধরনের প্রবিধান রোগীর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য ন্যায়সঙ্গত নয়। জনস্বার্থে এফডিসি ঔষধ গুলি মানুষের ব্যবহারের জন্য বিক্রয় এবং বিতরণ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজনীয়।
RG Kar case: কোথায় লুকিয়ে রহস্য? নির্যাতিতার সঙ্গে ডিনার ৪ চিকিৎসকের,গোপন জবানবন্দি চাইছে সিবিআই
ইতিমধ্যেই তালিকায় এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যা প্রস্তুতকাররা তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালে গঠিত এক বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলেছিল, কোন বৈজ্ঞানিক তথ্য ছাড়াই নির্মাতারা রোগীর কাছে এই ঔষধ গুলি বিক্রি করেছে। ২০২৩ শে জুনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ৩৪৪ টি ড্রাগ কম্বিনেশন এর মধ্যে ১৪ টি।
RG Kar case:সুপ্রিম নির্দেশ এবং রাজ্যপালের সঙ্গে কথা, কি জানাচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা
নিষেধের ওষুধের তালিকায় রয়েছে -অ্যাসিক্লোফেন্যাক ৫০ এমজি + প্যারাসিটামল ১২৫ এমজি,মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন, সেটিরিজাইন এইচসিএল + প্যারাসিটামল + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল , লিভোসেট্রিজাইন + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল + প্যারাসিটামল , প্যারাসিটামল + ক্লোরফেনির্মাইন মালেট + ফেনিল প্রোপানোলামিন এবং ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি + প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি ।