ব্যুরো রিপোর্ট, ১৩ মার্চ: মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উল্টো সুর বাবুন ব্যানার্জীর গলায়। বুধবার সকালেই বাবুন ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনে হাওড়া থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করবেন। হাওড়ায় তৃণমূল প্রার্থী ফুটবলার প্রসূন ব্যানার্জির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে এই কথা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট ভাই। বাবুর ব্যানার্জি সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের কথা হয়েছে। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এই জল্পনাও শুরু হয়েছিল। আর এইসবের মাঝেই উত্তরবঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের ছোট ভাইয়ের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমি পরিবারতন্ত্র করি না। যে যেখানে ইচ্ছে ভোটে লড়তে পারে। আমার কিছু যায় আসে না। ওঁর সঙ্গে আমাদের পরিবারের আর কোনও যোগ নেই।
মহুয়ার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ আনলেন বিজেপির এক রাজ্য নেতা
তিনি এও বলেন, যাঁরা লোভী, আমি তাঁদের পছন্দ করি না। অনেক কষ্ট করে ছোট ভাই-বোনদের মানুষ করেছি আমি। কিন্তু ওকে মানুষ করতে পারিনি। এরপর এই বাবুন ব্যানার্জি বুঝতে পারেন দিদি তার ওপর বেজায় চটেছেন।ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করে বাবুন ব্যানার্জি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আছেন, আমি তাঁর সঙ্গে আছি। আমি বিজেপি-তে যাচ্ছি বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা অসত্য, ভুয়ো খবর। বাবুন আগেও জানিয়েছিলেন, বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হলেও, মমতা যতদিন আছেন, দল ছাড়ার কথা ভাবছেন না তিনি।
গোটা ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী কৌশল? উঠছে প্রশ্ন
নতুন অতিথির আগমন, খুশির হাওয়া কুনোতে
এখন প্রশ্ন উঠছে বাবুন ব্যানার্জি তাহলে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়ার কথা কেনই বা ঘোষণা করলেন, আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলার পরেই কেনই বা সুর নরম করলেন বাবুন ব্যানার্জি? রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন তাহলে পুরোটাই কি মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী কৌশল? কারণ, লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই প্রার্থী হতে না পারার কারণে অনেকেই দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এমনিতেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি একের পর এক ইস্যুতে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঘাসফুল শিবির। এরই মধ্যে যেভাবে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে তার প্রভাব ভোট ব্যাংক এ পড়তে পারে বলে মনে করছে শাসক শিবির। সেই কারণেই নিজের ভাইয়ের প্রতি কড়া অবস্থান দেখিয়ে দলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের বার্তা দিলেন বলে মনে করছেন রাজনীতির মহল।