আওয়ামি লিগের প্রতিবাদ মিছিলে হামলা

ব্যুরো নিউজ,১১ নভেম্বর:বাংলাদেশে আবারও রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। রবিবার, আওয়ামি লিগ প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর প্রতিবাদ মিছিলে বের হয়। তাদের প্রতিবাদ মিছিলের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার পতনের পর গঠিত মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা। তবে, তাদের প্রতিবাদ মিছিল শুরু হওয়ার আগেই ব্যাপক হামলার শিকার হতে হয় আওয়ামি লিগের কর্মী–সমর্থকদের। অভিযোগ, পুলিশ ও সেনা বাহিনী এই হামলায় যোগ দিয়েছিল, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তোলে।

কিশতোয়ারে সেনা ও জঙ্গির মধ্যে গুলির লড়াই, শহিদ নায়েব সুবেদার রাকেশ কুমার

প্রতিবাদ মিছিলের আহ্বান

এদিন, আওয়ামি লিগের কর্মসূচিতে বাধা দিতে অন্তর্বর্তী সরকার সেনা ও পুলিশকে মাঠে নামায়। পুলিশ দাবি করেছে, আওয়ামি লিগের মিছিলের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি, এবং সেই কারণে তাদের প্রতিবাদ মিছিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকা, বিশেষত নূর হোসেন চত্বর এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এলাকায় এদিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়, যেখানে আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এই হামলার জন্য বিএনপি এবং যুবদলের সদস্যদের উকিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে।আওয়ামি লিগের নেতা–কর্মীরা জানান, তাদের প্রতিবাদ মিছিলে হামলা ও আক্রমণ চালানো হয়েছে। গাড়ি ও মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দলের কর্মী–সমর্থকদের পুলিশ ও সেনা বাহিনী আটক করে নিয়ে গেছে। এই হামলার পর আওয়ামি লিগের নেতারা দাবি করেছেন, এটি সরকারের পক্ষ থেকে গণতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা এবং রাজনৈতিক প্রতিবাদকে দমন করার চেষ্টা।

ইরাকে বিয়ের বয়স ৯ বছর, নারী অধিকার নিয়ে নতুন সংশোধনী আইন নিয়ে বিপুল বিতর্ক

অপরদিকে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিলের আহ্বান করা হয়েছিল, যেখানে ১৯৮৭ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। তবে, প্রাক্কালে সরকার থেকে মিছিলের অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগের প্রতিবাদ মিছিল ‘ফ্যাসিস্ট পার্টির’ কাজ, তাই তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।এই পরিস্থিতি আরও একটি প্রশ্ন উঠিয়ে দিয়েছে—বাংলাদেশে কি সত্যিই গণতন্ত্র ফিরে এসেছে? আওয়ামি লিগের নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, রাজনৈতিক কর্মসূচি ও প্রতিবাদ আন্দোলনগুলিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন আরও অস্থির ও চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, এবং অনেকেই মনে করছেন, শান্তি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরানোর জন্য আরও জোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর