ব্যুরো নিউজ , ১৬ ফেব্রুয়ারি:৯১ বছর বয়সেও সুরেলা কণ্ঠে মঞ্চ মাতাতে পারেন কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলে। তাঁর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল সুরকার আর ডি বর্মনের সঙ্গে, যাঁর সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক জীবন কাটিয়েছেন। সম্প্রতি, ‘কাপল অফ থিংস উইথ আরজে আনমোল এবং অমৃতা রাও’ পডকাস্টে এসে আশা শেয়ার করেছেন তাঁর স্বামী আর ডি বর্মনের সাথে সম্পর্কের কিছু স্মৃতি এবং তার বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য।
হাতির আক্রমণে আহত দুই কৃষক, বন দফতরের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন তারা
আশা ভোঁসলে কী বললেন?
আশা ভোঁসলে বলেন, তাঁর সুরকার স্বামী আর ডি বর্মন এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন, যাঁর কোনও অহংকার ছিল না। তিনি কখনোই নিজের প্রতিভাকে বড় করে দেখতেন না। আশা বলেন, “আর ডি বর্মনের আইকনিক মর্যাদা থাকার পরও তিনি নিজেকে কখনো বিশাল কিছু মনে করতেন না। ওঁর কোনও অহংকার ছিল না। তাকে যদি একটি হীরেও দিতাম, তিনি বলতেন, ‘এটা কী? এটা কি পাথর?’ বরং, তিনি বলতেন, ‘এর পরিবর্তে একটি ভালো গান রেকর্ড করো, গান রেকর্ড করাই তার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান ছিল।’”
আশা আরও বলেন, তাঁদের মাঝে একটি বিশেষ ডাকনাম ছিল। “আমি প্রথমে তাকে ‘পঞ্চম’ বলে ডাকতাম, তবে পরে, যখন আমি ‘বাবুয়া’ গানটি গাইতে শুরু করি, তিনি আমাকে সেই নামেই ডাকতেন। তারপর একসময় এটি ছোট হয়ে বাব হয়ে গিয়েছিল। তবে, জনসমক্ষে, তিনি আমাকে নাম ধরেই ডাকতেন।”মঞ্চে গান গাওয়ার সময় তাঁর মানসিক চাপের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আশা বলেন, “স্টুডিওতে সব কিছু সহজ হয়ে যায়, কিন্তু মঞ্চে আবেগ পুরোপুরি দখল করে নেয়। মঞ্চে গলা আটকে যায়, কণ্ঠস্বর কাঁপে, স্মৃতিগুলো ভেসে আসে – সেই রাতগুলো, সেই চিঠিগুলো, গোলাপের গন্ধ। শ্রোতারাও তাদের নিজের অতীত মনে করে, তাদের সঙ্গে আমাদের সংযোগ তৈরি হয়।”
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে গেল এবং ইতিহাসের সাক্ষী আরেকটা অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিল আশা ভোঁসলের শেষ ইচ্ছা। তিনি বলেন, “আমার একমাত্র ইচ্ছা হল আমি গান গাইতে গাইতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করি। আমি শিখেছি, আমি গেয়েছি, আর এখন গান গাইতে গাইতে মরতে চাওয়া আমার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা। এটা আমাকে সবচেয়ে সুখী করবে।”শেষে হাসিমুখে আশা বলেন, “গান ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না।”