ব্যুরো নিউজ ১২ নভেম্বর :আজওয়াইন বা সেলারি বীজ ভারতীয় রান্নাঘরে বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান। এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের স্বাস্থ্যকে বহুমুখীভাবে উপকৃত করে। আজওয়াইন মূলত অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা বিভিন্ন ধরনের হজমের সমস্যা থেকে শুরু করে ঠান্ডা-কাশি ও সর্দির মতো সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকরী।
শরীর সুস্থ রাখতে কাঁচকলা কতোটা উপকারী আপনি ভাবতেও পারবেন না,জানুন কি কি রোগের দাওয়াই এই সব্জি
জোয়ান স্বাস্থ্যের উপকারিতা:
ডায়াবেটিস রোগীদের দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যে জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর? কি বলছে বিশেষজ্ঞরা
১. পেটের সমস্যায় উপকারী: আজওয়াইন অ্যাসিডিটি, বদহজম, ও পেট ফাঁপার মতো হজমের সমস্যার সমাধানে কার্যকর। এতে থাকা সক্রিয় এনজাইম গ্যাস্ট্রিক জুসের নিঃসরণ উন্নত করে হজমে সহায়তা করে। সেলারি বীজের নির্যাস পাকস্থলী ও অন্ত্রের ক্ষত নিরাময়েও সহায়ক।
২. ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধ: আজওয়াইন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বিরুদ্ধে কার্যকর। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে সেলারি বীজের নির্যাস ই. কোলাই ও সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, যা সংক্রমণ কমাতে সহায়ক।
গন্ধরাজ লেবুর উপকারিতা কতো জানেন কি? আসুন জেনে নিই
৩. ঠান্ডা ও কাশির প্রতিষেধক: ঠান্ডা লাগলে আজওয়াইনের ব্যবহার অতুলনীয়। এটি শ্লেষ্মা বের করতে ও নাকের বাধা দূর করতে সহায়ক। হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা কমাতেও আজওয়াইন কার্যকর।
৪. বেদনানাশক গুণাগুণ: আজওয়াইনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য জয়েন্ট ও পেশী ব্যথা কমাতে সহায়ক। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রেও আজওয়াইন কার্যকর বলে প্রমাণিত।
বাংলায় কবে ঢুকচ্ছে শীতের আভাস? জানিয়ে দিলেন আবহাওয়া দপ্তর
ঠান্ডা দূর করতে সেলারি, শুকনো আদা, ঘি একত্রে মিশিয়ে খান। এটি হজম শক্তি বাড়িয়ে সর্দি-কাশির উপশমে সহায়ক।এক গ্লাস পানিতে এক চামচ আজওয়াইন সিদ্ধ করে অর্ধেক করে নিন। ছেঁকে এতে কালো লবণ মিশিয়ে পান করুন। এটি চায়ের মতো গরম পান করলে গলা ও নাকের সমস্যা কমায়।