এখনও মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পাননি ছাত্রছাত্রীরা

ব্যুরো নিউজ , ৬ ফেব্রুয়ারি :২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য মাত্র ৩দিন বাকি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী তাদের অ্যাডমিট কার্ড পাননি! এর ফলে তারা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছেন না, এবং এই সমস্যার সমাধান চাইতে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরু হবে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে। তবে, প্রায় ৫০ জন পরীক্ষার্থী এখনও পর্যন্ত তাদের অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, তাদের অভিভাবক এবং প্রধান শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন যে, অনলাইনে ফর্ম ফিল-আপ করার সময় কিছু ভুল ত্রুটি হয়েছিল। এই ত্রুটির কারণে তাদের অ্যাডমিট কার্ড সমস্যায় পড়েছে।

ট্রাম্পের আদেশে রূপান্তরকামী অ্যাথলিটদের খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা: ২০২৮ অলিম্পিক্সের আগে আইওসির উপরে চাপ 

৫০ জন ছাত্রছাত্রী কি এবছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন?

এদিকে, মাধ্যমিক পর্ষদের কাছে বিষয়টি বারবার তুলে ধরা হলেও কোনো কাজ হয়নি। গত মঙ্গলবার, ডিরোজিও ভবনে ছাত্রছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা দাবি করেন যে, তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি ভেস্তে যাচ্ছে, কিন্তু পর্ষদ থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছে, এখন আর কিছু করার নেই।এমন পরিস্থিতিতে, শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করার অনুমতি চাওয়া হয়। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতে মামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই ৫০ জন ছাত্রছাত্রী কি এবছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন? যদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগও পান, তবে এই সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতিতে তাদের মানসিক চাপ কীভাবে প্রভাব ফেলবে পরীক্ষায়?

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মামলার শুনানি হবে। এর আগে, পরীক্ষার্থীদের বাবা-মায়েরা চিন্তিত, কারণ তাদের সন্তানরা এই টানাপোড়েনের কারণে পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা প্রশ্ন তুলছেন, যদি কিছু ভুল-ত্রুটির কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড পেতে সমস্যা হয়, তবে কি পর্ষদের উচিত ছিল না এগিয়ে এসে সেই সমস্যার সমাধান করা?

হার্দিক পান্ডিয়া ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: চাপের মুহূর্তে শান্ত থাকার কৌশল জানালেন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার

এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, অনলাইনে ফর্ম ফিল-আপের ক্ষেত্রে স্কুলগুলির পক্ষ থেকে কিছু ভুল হতে পারে, কারণ এটি একটি নতুন পদ্ধতি। তবে, যদি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আরও সহযোগিতা করত এবং ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দিত, তবে এতগুলো ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ত না। প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি চন্দন মাইতিও এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তিনি মনে করেন, এই সমস্যার পুরো দায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। তিনি বলেন, পর্ষদের যদি একটু সহানুভূতি থাকতো, তবে এই সমস্যা এত বড় হয়ে উঠতো না।এখন দেখার বিষয় হল, আদালতের নির্দেশনা ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রতিক্রিয়া কী হবে এবং ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ কীভাবে নির্ধারিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর