ব্যুরো নিউজ,১৯ জুলাই: ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বাম- কংগ্রেস জোট পেয়েছে মাত্র ১টি আসন। ২০১৯ এ কংগ্রেসের ২টি আসন দখলে থাকলেও এবার তা কমে হয়ে যায় ১টি। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কেন্দ্র থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবার নির্বাচনে হেরে যান। দীর্ঘদিন ধরে ভোটে জেতার পর এবার নির্বাচনে অধীরের হেরে যাওয়া নিয়ে তার কারণ জিজ্ঞাসা করেন সোনিয়া গান্ধী। যদিও লোকসভা ভোটের আগে অধীরের হয়ে কংগ্রেসের কোনো শীর্ষ নেতা-নেত্রীদেরকেই প্রচার করার জন্য বাংলায় আসতে দেখা যায়নি।
ভোট ডিউটির জন্য পুলিশ কর্মীদের পুরস্কারের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর,চালু হলো এই প্রথম
মমতাকেই দায়ী করলেন অধীর চৌধুরী
আর সেই বিষয়েই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে অধীর চৌধুরী তার হারের কারণ জানিয়েছেন। বহরমপুর কেন্দ্রে এবার অধীরের হারের কারণ হিসেবে তিনি সম্পূর্ণভাবে দোষারোপ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অধীরের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করেছেন। বাইরে থেকে একজন পরিচিত মুসলিম মুখকে নিয়ে এসে সেখানে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করেছিলেন। যার ফলে হিন্দু ভোটের পুরোটাই বিজেপির দিকে চলে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, একেবারে প্রচ্ছন্নভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পথে হেঁটে আমাকে হারানোর চক্রান্ত করেছিলেন। আর তার এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির তাস খেলার কারণে বহরমপুর কেন্দ্রে তাকে হারতে হয়েছে বলে সোনিয়ার কাছে ব্যাখ্যা করেন অধীর চৌধুরী।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক নয়া মোড়,এবার ২০১৭ টেটে নজর হাইকোর্টের
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছিল। যদিও তা সমস্ত জায়গায় ফলপ্রসূ হয়নি। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল ওই জোটে থাকলেও সিপিএম- কংগ্রেসের সঙ্গে এই রাজ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। ফলে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, এটা আবার কি রকম ধরনের জোট? বাংলায় মমতা একা লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। অথচ জাতীয় পর্যায়ে গিয়ে সেই কংগ্রেস- সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে আবার ইন্ডিয়া জোটের কথা বলছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীর চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেন, সোনিয়ার সঙ্গে তিনি দেখা করে হারের কারণ জানিয়েছেন। মমতার সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি যে এবার তার হারের কারণ, সেটি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী।