ব্যুরো নিউজ,২ নভেম্বর:বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, বিদ্যুৎ সরবরাহে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। হাসিনা সরকারের অবসানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালিত বাংলাদেশে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হলো বাংলাদেশের পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) কাছে অস্বস্তিকর বকেয়া বিল।শুক্রবার রাতের দিকে আদানি আচমকা তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমাতে শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।এই ঘাটতির ফলে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে গেছে। এমনকি বিদ্যুৎ ঘাটতি ১৬০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
সনাতন জাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভঃ আট দফা দাবিতে চট্টগ্রামে প্রতিবাদ
দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন
গত ২৭ অক্টোবর আদানি কর্তৃপক্ষ পিডিবির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল, যাতে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া বিল মেটানোর কথা বলা হয়েছিল। আদানির তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল, যদি বকেয়া বিল পরিশোধ না করা হয়, তাহলে আবারও বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৮৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া রয়েছে, যা আদানি কর্তৃপক্ষের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।পিডিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে তারা কিছু পরিমাণ টাকা পরিশোধ করেছে, কিন্তু কৃষি ব্যাংক থেকে ডলার ঘাটতির কারণে পুরো পরিমাণ দিতে পারেননি। চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, বকেয়া বিল মেটানো না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর বড় প্রভাব পড়বে।
নেপালের ক্রিকেট ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ঃ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে হারাল সন্দীপের দল
এখন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমানো হয়েছে, এবং এই পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে বিদ্যুৎ ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। আদানি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিবকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, দ্রুত বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হবে। এই আবহে বাংলাদেশে বিদ্যুতের বর্তমান সংকট সমাধানে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।