ব্যুরো নিউজ,২৭ আগস্ট:বিপদ কখনও বলে আসে না। তাই আগাম সতর্ক হওয়া অত্যন্ত জরুরি! আপনি যদি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন।তাহলে এই বিষয়গুলি কি লক্ষ্য করছেন? ব্যস্ত জীবনে আমরা গ্যাস সিলিন্ডার কে অতটা গুরুত্ব দিই না। তবে এই কয়েকটি বিষয়ে নজর না দিলে হতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। তাই এক নজরে দেখে নেওয়া দেখে নেওয়া যাক এই জিনিসগুলি সিলিন্ডারে ঠিকঠাক আছে কিনা।
RG Kar case:মিলেছে রহস্যের সূত্র?অ্যাকশন মোডে সাতসকালেই সন্দীপের বাড়িতে সিবিআই, শহরজুড়ে তল্লাশি
গ্যাস সিলিন্ডারের দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয়
আপনার সিলিন্ডারটি একটি বিচ্ছিন্ন স্থানে রাখা উচিত। সিলিন্ডারটি এমন জায়গায় রাখার উচিত যেখানে জিনিসপত্রের বিশৃঙ্খলা কম থাকে। এছাড়াও, এটি এমন জায়গায় স্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ যেখানে ঘরের তাপমাত্রা শীতল এবং উচ্চ নয়। যদি এটি এমন জায়গায় রাখা হয় যেখানে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, তাহলে এটি বাহ্যিকভাবে সিলিন্ডারের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, এইভাবে সিলিন্ডারে গ্যাসের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেতে পারে। আর তাতেই হবে সর্বনাশ। বাড়িতে ফেটে জেতে পারে বোমের মতো সিলিন্ডার আর ঘটবে মহাবিপদ।
সবার প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার নেওয়ার আগে দেখবেন সিলিন্ডারের মুখ সিল প্যাক করা আছে কিনা। আমরা অনেকেই আছি যারা সিল প্যাক করার বিষয়ে খুব একটা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু এখানেই বিপদ ঘটে যায়। কারণ সঠিকভাবে সিল প্যাক না করা থাকলে সিলিন্ডারে সেফটিক্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস নির্গত হতে থাকে। আর এর ফলে ভয়ংকর বিপদ হয়ে যায়।
RG Kar case:ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা? এবার সুপ্রিম নজরে এক মহিলা, কে তিনি?
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল মেয়াদ উত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার ঘরে ঢোকাবেন না। এর কারণেই আপনার ঘরে ঘটতে পারে মহাবিপদ। আপনি ঠিক লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন সিলিন্ডারের একটি জায়গায় লেখা আছে তার ওজন,এ টোয়েন্টি ফোর বা ডি টোয়েন্টি ফোর যা গ্যাসের মেয়াদকাল বুঝাতে সাহায্য করে এই আলফাবেটগুলি।
RG Kar case:সুপ্রিম নির্দেশ এবং রাজ্যপালের সঙ্গে কথা, কি জানাচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা
যেমন ‘এ’ হল জানুয়ারি থেকে মার্চ,বি হল এপ্রিল থেকে জুন সি হল জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ডি হলো অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এই চার ধরনের আলফাবেট দিয়ে তার সময়কাল নির্ণয় করা হয় আর তার সাথে উল্লেখ থাকে সাল। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে বর্তমানে আপনি ২০২৪-এ বুক করেছেন অথচ আপনার গ্যাসেটি হল ২০২৩ সালের। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আপনি অনেক আগেই সিলিন্ডার কিনে রেখে দিয়েছেন। কিন্তু তার এক্সপায়ারি ডেট বা মেয়াদ ছিল হয়তো জুলাই অথবা আগস্ট কিন্তু আপনি ব্যবহার করছেন আগস্টে। যা আপনি একেবারেই ঠিক করছেন না। এতেই আচমকা ঘটে যেতে পারে আপনার বিপদ কারণ মেয়াদ উত্তীর্ণ করা সিলিন্ডার ব্যবহার করলে অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি আসতে পারে। তাই রান্না করবার জন্য মেয়াদ উত্তীর্ণ সিলিন্ডার মোটেও ব্যবহার করবেন না।
গ্যাস সিলিন্ডার ও ওভেন একেবারেই পাশাপাশি রাখবেন না। আপনার এই ভুলের জন্যই ডেকে আনবেন মহাবিপদ। পাশাপাশি ওভেন ও সিলিন্ডার একেবারেই রাখবেন না কারণ ওভেন থেকে নির্গত আগুনে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চেষ্টা করবেন প্রায় এক ফুট উঁচুতে ওভেনটিকে রেখে রান্না করার।
এছাড়া ভুলেও আপনি কোন বদ্ধ জায়গায় সিলিন্ডার রাখবেন না। বদ্ধ কোন জায়গায় যদি সিলিন্ডার রাখেন তাহলে বিপদ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।
বেশিরভাগ মহিলারা আছেন যারা রান্না করার পর সিলিন্ডার নকটাকে বন্ধ করতে ভুলে যায়। আর এতেই বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই রান্না করার পর অবশ্যই সিলিন্ডারের নকটা খেয়াল করে বন্ধ করুন।
গ্যাসের পাইপ এবং রেগুলেটর এদের একটি এক্সপায়ারি ডেট থাকে অবশ্যই পরিবর্তন করবেন। আই এস আই লোগোযুক্ত পাইপ ব্যবহার করবেন।অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর গ্যাস সিলিন্ডার এবং ওভেন একজন দক্ষ মেকানিক দিয়ে সার্ভিসিং করান।তাহলে আপনি এবং আপনার পরিবার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে খাওয়া দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পাবেন।