abhishek-kumar-google-success-story

ব্যুরো নিউজ,২৭ সেপ্টেম্বর:বিহারের জামুই জেলার জামু খারিয়া গ্রামের বাসিন্দা অভিষেক কুমার এখন দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। মাটির বাড়িতে বেড়ে ওঠা অভিষেক পড়াশোনায় কখনও অবহেলা করেননি এবং জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এবার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। গুগলে চাকরি পেয়ে তিনি বার্ষিক ২ কোটি টাকা মাইনে পাচ্ছেন এবং শীঘ্রই গুগলের লন্ডন অফিসে যোগ দেবেন।

ফুটবল মহলে নতুন জটিলতা আনোয়ার আলিকে নিয়ে

কঠোর পরিশ্রম ও পরিবারের সমর্থন

অভিষেকের সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও পরিবারের সমর্থন। তার বাবা, ইন্দ্রদেব যাদব, জামুই সিভিল কোর্টের আইনজীবী এবং মা, মঞ্জু দেবী, একজন গৃহিণী। পরিবারে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হতো, আর অভিষেকও তা কখনোই অবহেলা করেননি। তিনি বলেন, “এটি আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। গুগলে কাজ করা অনেক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের জন্য একটি স্বপ্ন, এবং আমি এই সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত খুশি।”অভিষেক জামুই থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে এনআইটি পাটনা থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। ২০২২ সালে, তিনি অ্যামাজন কোম্পানির কাছ থেকে ১.০৮ কোটি টাকার একটি প্যাকেজ পেয়েছিলেন এবং ২০২৩ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন। এখন, তিনি গুগলের লন্ডন অফিসে ২ কোটি টাকার প্যাকেজ পাচ্ছেন।গুগলে চাকরি পাওয়ার পথ সহজ ছিল না। অভিষেক তখন অন্য একটি কোম্পানিতে কাজ করছিলেন এবং গুগল ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা কাজ করতাম, তারপর বাকি সময়ে সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি নিতাম। কোডিং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য যতটা সম্ভব সময় বের করতে চেষ্টা করেছি।” এর ফলে, তিনি গুগলের ইন্টারভিউতে সফল হয়েছেন।

বেআইনি বন্যপ্রাণী ব্যবহার মামলায় এলভিস যাদবের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

অভিষেক কৃতিত্বের সিংহভাগ তার বাবা-মা এবং ভাইকে দিয়েছেন। তিনি জানান, “আমার বাবা-মা এবং ভাই আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।” অভিষেক এখন একটি নতুন বাড়ি তৈরি করছেন।তরুণদের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, “সবই সম্ভব। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যেখান থেকেই আসুন না কেন, যদি ইচ্ছা এবং প্রচেষ্টা থাকে, তবে অনেক বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব।”অভিষেক কুমারের সাফল্যের গল্প আমাদের শেখায়, স্বপ্ন দেখা ও তার পেছনে কঠোর পরিশ্রম করাই আসল সাফল্যের চাবিকাঠি।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর