সঙ্কল্প দে, ২৫ মার্চঃ রামচন্দ্রের বীরত্বের কাছে মাথা নোয়াতে হয়েছিল প্রায় সমস্ত বীরদেরই। রামচন্দ্রের বীরত্বের কাহিনী তাই কারোরই অজানা নয়। রামচন্দ্রের পূজা করলে সব দেবতারা যেমন তুষ্ট হন তেমনি সন্তুষ্ট হন দেবাদিদেব মহাদেব। পুরাণে আছে ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার হিসেবে এই ধরায় আবির্ভূত হয়েছিলেন শ্রী রামচন্দ্র । ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম’ বা ‘শ্রেষ্ঠ পুরুষ’ রামচন্দ্রের বীরগাথার কাহিনী আজও আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

গোটা দেশ তো বটেই দেশের বাইরেইও পূজিত হন শ্রী রামচন্দ্র। বিভিন্ন দেশে শ্রী রামের মূর্তিও রয়েছে। আগামী ৩০ শে মার্চ রামনবমী। আজ থেকে সাড়ে ৯ লক্ষ বছর পূর্বে ত্রেতা যুগে, চৈত্র মাসে, শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে পুনর্ব্বসু নক্ষত্রে,কর্কট লগ্নে এই রাম নবমীর দিনই শ্রী রামচন্দ্রের জন্ম হয়েছিল।ইতিমধ্যেই এই বিশেষ দিনটি পালনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সারা বিশ্ব জুড়ে। হিন্দু শাস্ত্র মতে রামনবমীর এই পূর্ণ তিথিতে রামচন্দ্রের পুজো করলে, তাঁর কাছে প্রার্থনা করলে বছরভর গৃহে শান্তি বিরাজ করে।

ভগবান বিষ্ণু যেমন  বিভিন্ন অবতারে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। একই ভাবে মহাদেবও বিভিন্ন অবতারে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার হলেন শ্রীরামচন্দ্র, অপরদিকে দেবাদিদেব মহাদেবের অবতার হলেন হনুমানজি। হনুমানজি আজীবনকাল শ্রী রামচন্দ্রের ভক্ত ছিলেন।তাই হনুমানজি নিজের নাম অপেক্ষা রামচন্দ্রের নাম করলে বেশি খুশি হন।

ভারতের উত্তরপ্রদেশেও সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কিছু দিন আগেই  ফৈজাবাদ শহরে  শ্রী রামচন্দ্রের একটি বিশালাকার মূর্তি তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।তাঁর ধারণা, মূর্তিটি ভবিষ্যতে ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে। ফৈজাবাদ শহরের নাম ইতিমধ্যেই তিনি পরিবর্তন করে রেখেছেন অযোধ্যা। রামভক্তদের কাছে যোগীর প্রতিশ্রুতি, শ্রী রামচন্দ্রের নামে তিনি খুব শীঘ্রই একটি বিমানবন্দর গড়বেন এমনকি রামচন্দ্রের পিতা রাজা দশরথের নামেও তৈরি হবে একটি মেডিক্যাল কলেজ।আর এই প্রতিশ্রুতিকে কার্যকর করতে তিনি বদ্ধপরিকর।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর