ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৮ ফেব্রুয়ারিঃ হাতে গোনা কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তার পরেই বসন্তের রঙে মেতে উঠবে গোটা রাজ্যবাসী। পচা ডিম থেকে শুরু বাঁদুরে বেগুনি রঙ কি না বাকি থাকে না এই দোলে। ফলে বারোটা বাজে ত্বকের। আর এইসকল জিনিস ব্যবহার চলে ভিনরাজ্যগুলিতে। তবে এ বছর হবে একটু ব্যতিক্রম।পচা ডিম বা বাঁদুরে রঙ কোনটাই দিয়ে খেলতে চায়না পড়শি রাজ্যগুলি। তাদের পছন্দ এবার কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ভেষজ আবির।

ভেষজ আবির যেটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। নিখাদ ফুল, নিমপাতা ও ট্যালকম পাওডার সহযোগে তৈরি হয় এই ভেষজ আবির। আর তার জন্যই যাদবপুর বিশ্ববিদ‌্যালয়ের রিজিওনাল কাম ফেসিলিটেশন সেন্টারে বসল ক্লাস। এবার যাদবপুরের রঙে রঙিন হবে ভিনরাজ্য অর্থাৎ রঙ খেলবে এবার বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশ্যা। দেশের মধ্যে প্রথম ভেষজ আবির তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল কলকাতার এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তৈরি হতে না হতেই খবর ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে । ভিনরাজ্যেও খবরটিও পৌঁছতে বাদ পরেনি। শুনে শুনে আবির তৈরি চেষ্টাও করেছিল পড়শি রাজ্যের কারিগররা। কিন্তু সাফল্য পাইনি তারা। ফলে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আর এই অনলাইন ক্লাসে হাজির ছিলেন কেমিক‌্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ‌্যাপক অসীম চট্টোপাধ‌্যায়, রিজিওনাল কাম ফেসিলিটেশন সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. সৌম‌্যজিৎ বিশ্বাস, এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ‌্যালয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুশ মন্ত্রকের রিজিওনাল কাম ফেসিলিটেশন সেন্টারের নোডাল কোঅর্ডিনেটর অধ‌্যাপক ডা. আশিস মজুমদার সহ প্রমুখ।

গত বছরে দোলের পর ত্বকের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পড়শি রাজ‌্যগুলোতে যে আবিরের ব্যবহার হয় সাধারণত তাতে থাকে সীসা, ক‌্যাডমিয়ামের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ‌্যালয়ের তৈরি এই আবির সম্পূর্ণ নিরাপদ। বিশ্ববিদ‌্যালয়ের প্রাক্তন অধ‌্যাপক অসীম চট্টোপাধ‌্যায়ের আবিষ্কার এই আবির। তিনি জানিয়েছেন, প্রচুর পরিমাণে আবির তৈরি করতে গেলে লাগবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিক্সার গ্রাইন্ডার। কিন্তু ঘরোয়া রান্নায় ব‌্যবহৃত মিক্সি দিয়ে সম্ভব নয়। ৩:১ অনুপাতে নিতে হবে ট‌্যালকম পাউডার আর অ‌্যারারুট। ট‌্যালকম পাউডার পাওয়া যায় না বিহার, ঝাড়খণ্ডে। ফলে সেই ঘুরে ফিরে আসতে হল ভরসা এই বাংলায়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর