samik bhattacharya vs mamata banerjee

ব্যুরো নিউজ ১৭ জুলাই ২০২৫ : বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বাঙালিদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছিলেন, ঠিক তখনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে একটি “লুটেরাদের সরকার” চলছে এবং দল ও প্রশাসন এক হয়ে গেছে।

বাঙালি-অবাঙালি বিতর্ক: বিজেপির অভিযোগ

শমীক ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে বলেন, “রাজ্যে বাঙালি অফিসারদের যখন চিফ সেক্রেটারি বা ডিজি করার কথা হয়, তখন মুখ্যমন্ত্রী অবাঙালিদেরই খোঁজেন। অথচ বাইরে গিয়ে বাঙালিদের অত্যাচারের কথা বলেন।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদে লড়ার জন্য কোনো বাঙালি প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে গুজরাট থেকে প্রার্থী আমদানি করতে হয়েছে এবং আসানসোলে বিহার থেকে শত্রুঘ্ন সিনহাকে আনতে হয়েছে।

Suvendu vs Mamata : বাঙালি বিদ্বেষ বিতর্কে মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা । বাস্তব চিত্র কিরকম ?

ভোটার তালিকা এবং অনুপ্রবেশের অভিযোগ

শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “বাংলাদেশি মুসলমান এবং রোহিঙ্গাদের এনে ভোটার তালিকায় তোলা হচ্ছে। এতে হিন্দু বাঙালিদের সর্বনাশ হচ্ছে।” তিনি দাবি করেন, বিজেপি ১৭ লক্ষ নাম চিহ্নিত করেছে যা ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যদি মনে করেন এটা এনআরসি, তিনি তাই মনে করুন। পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত বাংলার মানুষ ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা চান।”

তিনি তৃণমূল কর্মীদের পাশাপাশি বামপন্থী এবং কংগ্রেসকেও পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

উত্তরবঙ্গ এবং ২১ জুলাই সমাবেশ

উত্তরবঙ্গের প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। পাহাড়ের আজ করুণ অবস্থা। এক সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে। হিন্দিভাষী ও বাংলাভাষীদের মধ্যে বিভাজন তৃণমূল করেছে।” তিনি ঘোষণা করেন যে, “২১ জুলাই উত্তরকন্যায় ব্যাপক সমাবেশ হবে। পাহাড় থেকে সমতল, সব জায়গার মানুষকে আমরা একজোট হওয়ার ডাক দিচ্ছি।”

Suvendu vs Mamata : পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবিতে রাজনৈতিক বিতর্ক !

বাঙালি বিদ্বেষের অভিযোগ: একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত?

ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে বাঙালি বিদ্বেষের অভিযোগ উস্কে দেওয়া একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত মাত্র। নির্বাচন এলেই রাজ্যে বাঙালি-অবাঙালি সমীকরণ তৈরির চেষ্টা হয় – এবং নাগরিক সমাজের ঐক্যবদ্ধ মতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালান বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর দল। অথচ সেই একই দলের সরকার সমস্ত উচ্চ সচিব এবং প্রশাসনের অধিকারিক পর্যায়ে, অবাঙালিদের নিযুক্ত করেন। উদাহরণ বিনীত গোয়েল, মনোজ বর্মা, রাজীব কুমার, নারায়ণ স্বরূপ নিগম, মনোজ পন্থ ইত্যাদি। এমনকি দলীয় রাজনীতিতে গত লোকসভা নির্বাচনে, গুজরাট এবং বিহারের থেকে প্রার্থী এনে বঙ্গের সাংসদ মনোনীত করেছে মুখ্যমন্ত্রীর দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে এই ভারতবর্ষের মধ্যে থেকে বাঙালি বিদ্বেষের সমীকরণ দ্বৈতচরিতা মাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর