ব্যুরো নিউজ ০২ জুলাই : সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে স্বস্তি আনতে কেন্দ্রীয় সরকার এক বড় পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে। সূত্র অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই কেন্দ্র গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (GST) হার কমাতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, মোদী সরকার GST স্ল্যাব পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে, যার ফলে ১২ শতাংশ GST স্ল্যাব ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে। এমনটা হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১২% থেকে ৫% স্ল্যাবের প্রস্তুতি
সূত্র মারফত জানা গেছে, বর্তমানে ১২ শতাংশ GST ট্যাক্স স্ল্যাবের আওতায় আসে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বেশিরভাগ পণ্য। সরকার এখন বিবেচনা করছে যে, এই পণ্যগুলির বেশিরভাগই হয় ৫ শতাংশ GST স্ল্যাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে অথবা ১২ শতাংশ কর সম্পূর্ণরূপে তুলে দেওয়া হতে পারে। এই পদক্ষেপ কার্যকর হলে পোশাক থেকে শুরু করে সাবান পর্যন্ত অনেক কিছুই সস্তা হয়ে যাবে।
LPG Cylinder ; আবারও কমল বানিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ! দুই মাসে মোট ৮২ টাকা !
GST কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত
GST কাউন্সিলের আগামী ৫৬তম বৈঠকে এই বিষয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। চলতি মাসেই GST কাউন্সিলের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার যদি এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে, তাহলে জুতো, চপ্পল, মিষ্টি, পোশাক, সাবান, টুথপেস্ট এবং দুগ্ধজাত পণ্যের মতো অসংখ্য জিনিসের দাম কমবে, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
ভারতে GST-এর বর্তমান কাঠামো
২০১৭ সালে দেশে GST কার্যকর করা হয়েছিল এবং ১লা জুলাই GST আরোপের আট বছর পূর্ণ হয়েছে। দেশে GST-এর হার GST কাউন্সিল দ্বারা নির্ধারিত হয়, যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরাও GST পরিবর্তনের যেকোনো সিদ্ধান্তে অংশ নেন। ভারতে বর্তমানে চারটি প্রধান GST স্ল্যাব রয়েছে: ৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮%। শস্য, ভোজ্যতেল, চিনি, খাবার এবং মিষ্টির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়াও, সোনা-রূপো এবং অন্যান্য সমস্ত পণ্য বিভিন্ন বিভাগ অনুসারে এই কর স্ল্যাবে রাখা হয়েছে।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত: ছাড়াল জাপানকে
সরকারের ইতিবাচক ইঙ্গিত
GST নিয়ে বড় ধরনের স্বস্তির ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই সরকারের কাছ থেকে পাওয়া শুরু হয়েছে। গত বছরের মার্চ মাসে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে GST হার আরও কমবে। তারপর থেকে, GST ট্যাক্স স্ল্যাবে পরিবর্তনের প্রত্যাশা ছিল। এখন সূত্র অনুসারে, পরবর্তী কাউন্সিল সভায় এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য নিঃসন্দেহে এক সুসংবাদ।