ব্যুরো নিউজ ২৭ মে : ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ই- হংস ‘ (E-Hansa) নামে একটি অত্যাধুনিক দুই আসনের বৈদ্যুতিক প্রশিক্ষণ বিমান তৈরির কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজ্ঞান কেন্দ্রে বিজ্ঞান বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) ডঃ জিতেন্দ্র সিং এই ঘোষণা করেন।
স্বদেশী প্রযুক্তির জয়যাত্রা
ডঃ সিং এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছেন যে, এই বিমানটি বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত সিএসআইআর-ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ল্যাবরেটরিজ (NAL) দ্বারা সম্পূর্ণরূপে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হতে যাওয়া এই বিমানটি তুলনামূলক আমদানি করা প্রশিক্ষণ বিমানের প্রায় ৫০ শতাংশ কম খরচে পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পটি HANSA-3 (Next Generation হংস ৩ ) কর্মসূচির অধীনে পড়ে।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত: ছাড়াল জাপানকে
মূল উদ্দেশ্য
বৈমানিক প্রশিক্ষণে আত্মনির্ভরশীলতা মন্ত্রী জানান, এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভারতের দ্রুত প্রসারমান বিমান চলাচল খাতে দক্ষ পাইলটদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সাশ্রয়ী, দেশীয়ভাবে তৈরি প্রশিক্ষণ বিমান তৈরি করা।
সবুজ উড়ানের স্বপ্ন
ডঃ সিং আরও বলেন, ভারতের ই-হানসা বিমান দেশের সবুজ বিমান চলাচল লক্ষ্য এবং আমাদের বিমানে সবুজ বা পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহারের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চিহ্নিত করবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বাস্তুতন্ত্রে রূপান্তরমূলক সংস্কার
এছাড়াও, বৈঠকে কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন, পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অবস্থা এবং ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বাস্তুতন্ত্রে রূপান্তরমূলক সংস্কারের পথ নির্ধারণের উপর জোর দেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কর্মকর্তারা
বৈঠকে ভারত সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা অজয় কুমার সুদ, সিএসআইআর-এর মহাপরিচালক ও সচিব এন কালাইসেলভি, ইসরো-এর চেয়ারম্যান ও ডিওএস সচিব ভি নারায়ণন, ডিএসটি সচিব অভয় কারন্দিকার, ডিবিটি সচিব রাজেশ গোখলে, ভূবিজ্ঞান সচিব এম রবিচন্দ্রন, আইএমডি মহাপরিচালক এম মহাপাত্র এবং এনআরডিসি-এর সিএমডি অমিত রাস্তোগী সহ পরমাণু শক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই উদ্যোগ ভারতের বিমান চালনা এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।