ব্যুরো নিউজ ১৪ মে: গ্রীষ্মের আনাজপাতির ঝুড়িতে ঢেঁড়স একটি অবিচ্ছেদ্য সব্জি। ঢেঁড়স যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই সব্জি শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। অনেক জটিল রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা রয়েছে ঢেঁড়সের। তবে প্রতিদিন ঢেঁড়স খাওয়া কি নিরাপদ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজকের প্রতিবেদন।
ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খান? কখন এবং কীভাবে খেলে পাবেন সবচেয়ে বেশি উপকার? রইল নিয়ম
ঢেঁড়সের গুণাগুণ ও সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
পুষ্টিগুণে ভরপুর:
আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে রয়েছে মাত্র ৩৩ ক্যালোরি, ৩.২ গ্রাম ফাইবার, ২৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩১ মিলিগ্রাম ভিটামিন কে, ২৯৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ও ৮২ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম। এর সঙ্গে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট— ক্যাটেচিন ও কোয়ারসেটিন।
কলকাতার পারদ ছুঁল ৩৭.৪, স্বস্তি মিলবে কি? জেনে নিন
রোগ প্রতিরোধে ঢেঁড়স:
ক্যানসার: ঢেঁড়সে থাকা লেকটিন নামক প্রোটিন স্তন ক্যানসারের কোষ নষ্ট করতে সাহায্য করে বলে দাবি রয়েছে ২০১৪ সালের ব্রাজিলের এক গবেষণায়।
ডায়াবেটিস: ইঁদুরের উপর এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঢেঁড়সের গুঁড়ো রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সহায়ক।
হার্টের সমস্যা: ঢেঁড়সে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
হাড়ের রোগ: ভিটামিন কে-র উপস্থিতিতে হাড়ের গঠন মজবুত হয়, অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে:
ঢেঁড়সে থাকা ফ্রুকটেন অতিরিক্ত গ্রহণে হতে পারে গ্যাস, ডায়েরিয়া ও পেটের সমস্যা।
ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে, যা রক্ত পাতলা করার ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।
অক্সালেট বেশি থাকায় বেশি খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
মহাকাশে আট মাস,কেমন আছেন সুনীতা উইলিয়ামসরা?
ঢেঁড়স একটি পুষ্টিকর সব্জি, যা সঠিক পরিমাণে খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তবে প্রতিদিন বেশি পরিমাণে না খেয়ে, নিয়মিতভাবে পরিমিত ঢেঁড়স খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যারা কিডনির সমস্যা বা ব্লাড থিনারের ওষুধ খান, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়। এই গ্রীষ্মে ঢেঁড়স খান, তবে সচেতনভাবে। কারণ খাবার যতই পুষ্টিকর হোক না কেন, মাত্রারিক্ত গ্রহণ সব সময়ই ক্ষতিকর।