পাকিস্তান সেনাবাহিনী আবারও তাদের মূলনীতি পুনর্ব্যক্ত করে ঘোষণা করেছে যে “জিহাদই আমাদের নীতি।” এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র দাবি করেন, সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বও এই আদর্শের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একমত এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির-কে তিনি “জিহাদি জেনারেল” বলে অভিহিত করেন।
মুখপাত্র আরও জানান, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সরকারি মূলনীতি পরিবর্তন করা হয়েছিল জেনারেল জিয়াউল হকের শাসনামলে। আগের মূলনীতি ছিল ইত্তেহাদ, ইয়াকিন, তানজিম (ঐক্য, বিশ্বাস, শৃঙ্খলা)। তবে পরে এটি পরিবর্তন করে আরও ধর্মীয়ভাবে প্রভাবিত একটি মূলনীতি গ্রহণ করা হয়: ঈমান, তাকওয়া, জিহাদ ফি-সাবিলিল্লাহ, যার অর্থ বিশ্বাস, পরহেজগারি এবং আল্লাহর নামে সংগ্রাম।
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, ভারত ও পাকিস্তানের সেনা কার্যক্রম পরিচালনার মহাপরিচালক (ডিজিএমও) পর্যায়ের আলোচনা এখন সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। পূর্বে এই দুটি পক্ষের ১২টার দিকে হটলাইন সেবার মাধ্যমে কথা বলার কথা ছিল, কিন্তু অজানা কারণে এটি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এই আলোচনা সেনাবাহিনীর বিরতি নিয়ে ভবিষ্যত কার্যক্রমের রূপরেখা নির্ধারণ করার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত হবে, যা শনিবার ঘোষণা করা হয়েছিল এবং সোমবার তার মেয়াদ শেষ হবে।
ভারত ও পাকিস্তানের সেনা কার্যক্রম পরিচালনার মহাপরিচালকরা আজ আবার কথা বলবেন, ১০ মে দুপুর ৩:৩৫ এর পর তাদের কথোপকথনের পর, যেখানে বিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল এবং পাকিস্তান ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি ও নাগরিক এলাকায় ড্রোন ও গোলাবারুদ নিক্ষেপ করে সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছিল, যার ফলে একাধিক দিন ধরে চলা সশস্ত্র সংঘর্ষে বিরতি আসে।
সফল অপারেশন সিঁদুর দ্বারা, ভারত সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের সতর্ক করেছে যে পাকিস্তানে তাদের জন্য কোনো নিরাপদ স্থান নেই। ভারতীয় সেনাবাহিনী ৭ মে ভোরে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল, পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (PoK)-এ নয়টি সন্ত্রাসী স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছিল। এই অপারেশনটি ২২ এপ্রিল পহেলগামের সন্ত্রাসী আক্রমণের প্রতিশোধস্বরূপ চালানো হয়, যার ফলে ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। ভারতের এই অপারেশনের পর, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়ে ওঠে, যার ফলস্বরূপ পাকিস্তান থেকে সীমান্তবর্তী গোলাবর্ষণ বৃদ্ধি পায় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।