আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুন মামলায় সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড

ব্যুরো নিউজ,২৩ ফেব্রুয়ারি :২০২৪ সালের ৯ আগস্ট, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলার সেমিনার রুমে উদ্ধার হয়েছিল এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। এর পর থেকেই এই ঘটনা ঘিরে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়, মামলাগুলির তদন্ত চলতে থাকে। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তবে মামলার কার্যক্রম এখনও চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে একটি নতুন অভিযোগ উঠেছে, তা হলো নিহত তরুণীর মা-বাবা এখনও তাদের মেয়ের মৃত্যু সংশাপত্র বা ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পাননি।

‘রিভার অ্যাম্বাস্যাডর’ প্রকল্পঃ কলকাতার ঘাটে পরিচ্ছন্নতা ও জীবনরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

ঘুরছেন নিহতের পরিবার

এ বিষয়ে রিপোর্টে জানা গেছে, পানিহাটি পুরসভা তরুণী চিকিৎসকের সৎকারের সংশাপত্র ইস্যু করলেও, তার মা-বাবা এখনো মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য কলকাতা পুরসভায় অপেক্ষা করছেন। পরিবার জানিয়েছে, যখন প্রথম তারা ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন, তখন কলকাতা পুরসভা তাদের জানায়, আরজি কর হাসপাতালই তা ইস্যু করবে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই সার্টিফিকেট কলকাতা পুরসভা ইস্যু করবে। ফলে, ৬ মাস পরও ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরছেন নিহতের পরিবার।

স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত কলকাতা পুরসভাই ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে থাকে, বিশেষত অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে। তবে সরকারি হাসপাতালগুলোতেও কারও মৃত্যু হলে, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই সাধারণত ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে। কিন্তু এ ঘটনার পরেও ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে চলমান অস্থিরতা বিরাজ করছে।এদিকে, ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুন মামলার রায় দেওয়া হয়। সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়। এর আগে ১৮ জানুয়ারি আদালত সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৩, ৬৪ ও ১০৩ (১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন।

ইউপি ওয়ারিয়র্সের প্রথম জয়, দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল দীপ্তির দল

রায় দেওয়ার সময় বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, এটি একটি বিরলতম মামলা এবং নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।এই ঘটনা এখন শুধু আইনজীবীদের মধ্যে নয়, সমাজের মধ্যে আলোচনার ঝড় তুলেছে। সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত হয়ে তার কঠোর শাস্তি হওয়া এবং নির্যাতিতার পরিবারের ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্তে দেশবাসী শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তবে এখনো মৃত্যু সংশাপত্রের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পরিবারের জন্য এক দুঃখজনক পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর