ব্যুরো নিউজ,২১ ফেব্রুয়ারি :বিদেশে মেডিক্যাল কোর্স করতে গেলেও প্রার্থীদের জন্য এখন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। ২০১৮ সালে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই) যে নিয়মটি চালু করেছিল, সেটি বহাল রাখল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এর অর্থ, যেসব ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে ডাক্তারি (স্নাতক স্তর) পড়তে চান, তাদেরও সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (NEET-UG) উত্তীর্ণ হতে হবে।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ জোটের শক্তি প্রদর্শন, আগামী নির্বাচনে একযোগে লড়াইয়ের প্রস্তুতি বঙ্গে
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু
মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই নিয়মটি ২০১৮ সালে প্রথম চালু হয়েছিল এবং তখন থেকেই এটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ভারতের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে গেলে যেখানে নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়, সেখানে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য হতে হবে, এই দাবি তুলেছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই নিয়মটি স্বচ্ছ এবং ন্যায়সঙ্গত, যা আইনের কোনো লঙ্ঘন ঘটায় না।
আদালত আরও জানিয়েছে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই নিয়মে কোনো ধরনের অসঙ্গতি বা আইনের বিরোধিতা নেই এবং এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।তবে, বিদেশে মেডিক্যাল পড়তে যাওয়ার জন্য নিট উত্তীর্ণ হওয়ার নিয়মকে আইনের বিরোধী বলা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের মতে, এই নিয়মটি শুধুমাত্র মেডিক্যাল ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরও সুশৃঙ্খল এবং ন্যায়সঙ্গত করেছে। তাই, যেকোনো ছাত্র-ছাত্রী যিনি বিদেশে মেডিক্যাল পড়তে চান, তাকে নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক হবে।
শিশুদের জন্য কেন ক্ষতিকারক টিভি দেখা জানেন? না জানলে এখনই জানুন
একই সময়, দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা উঠেছিল, যেখানে আবেদন জানানো হয়েছিল যে, নিট পরীক্ষা বছরে দু’বার নেওয়া উচিত, যেমন জেইই (JEE) হয়। তবে, হাইকোর্ট জানায় যে, এটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এবং এর মধ্যে আদালতের কোনো হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এটি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করবে।’এখন, বিদেশে মেডিক্যাল পড়ার জন্যও নিট উত্তীর্ণ হতে হবে—এটি পরবর্তী প্রজন্মের চিকিৎসক হওয়ার পথটিকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে, কিন্তু এটি দেশের মেডিক্যাল শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।