আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ভাইরাসের আক্রমণ বৃদ্ধি।

ব্যুরো নিউজ,১৫ ফেব্রুয়ারি :বর্তমানে আবহাওয়া খামখেয়ালিপনায় চলছে। ভোরবেলা এবং গভীর রাতে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে, তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। দুপুরের দিকে রীতিমতো গরম লাগছে, আর ঠান্ডা-গরমের এই অস্বস্তির কারণে প্রতিটি বাড়িতেই কাশি, সর্দি, জ্বরে ভুগছেন অনেকেই। একদিকে শীতের খামখেয়ালিপনা, অন্যদিকে ভাইরাসবাহিত রোগের সংক্রমণও বাড়ছে, যার ফলে মানুষজন কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ছেন।গাঙ্গেয় বঙ্গ এবং কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তীব্র শীত পড়ে না কিন্তু আবহাওয়ার ওঠানামা অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে এই বছর মাঘ মাস পেরিয়ে ফাল্গুন এলেও শীত তেমন অনুভূত হয়নি।

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের শেষ দিনে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকছে না, আরবিআই-র নতুন নির্দেশিকা জারি

ভাইরাস সক্রিয়

গত বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শুক্রবারে এক ধাক্কায় নেমে আসে ১৭.৫ ডিগ্রিতে। এছাড়া গাঙ্গেয় বঙ্গের অধিকাংশ জায়গাতেই তাপমাত্রা কমে গিয়েছে। শ্রীনিকেতনে, যা বীরভূমে অবস্থিত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে ছিল। উত্তরবঙ্গে শীত এখনও আছে।আবহাওয়ার এই পরিবর্তন ও উত্তুরে বাতাসের কারণে তাপমাত্রার পতন ঘটেছে, তবে এই পতন সাময়িক। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শনিবার থেকেই তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে এবং আবহাওয়ার এই পরিবর্তন মানুষের জন্য অস্বস্তি সৃষ্টি করবে। পরিবেশবিদরা বারবার বলেছেন যে, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা আরও বাড়বে এবং এই পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সক্রিয় হতে পারে।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার এই পরিবর্তন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, যার ফলে জীবাণুর সংক্রমণ সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে। একাধিক রোগ যেমন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।মাইক্রোবায়োলজিস্ট বলছেন যে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শরীরের লোকাল ইমিউনিটি ভালভাবে কাজ না করার ফলে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ভাইরাল প্যানেল পরীক্ষা করেও অনেক ক্ষেত্রেই কোনো প্যাথোজেন পাওয়া যাচ্ছে না।এছাড়া শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার পাশাপাশি পেটের সমস্যারও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে হিউম্যান রাইনো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি, প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা, আরএসভি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। জ্বর চলে গেলেও কাশি অনেক দিন ধরে থেকে যাচ্ছে। ভাইরাস বা অ্যালার্জির কারণে শ্বাসনালির প্রদাহ হতে পারে, যার ফলে কাশি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

বয়স্কদের জন্য কি দিনে ১০ হাজার পা হাঁটা ঠিক? গবেষণা কি বলছে? জানুন

তাহলে কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

  • মাস্ক পরুন।
  • হাত ভালো করে ধুতে হবে।
  • হাঁচি-কাশি আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকুন।
  • গরম থেকে একধাপ ঠান্ডা পরিবেশে প্রবেশ করবেন না, যেমন এসি ঘরে।
  • পর্যাপ্ত জল পান করুন
  • শরীরে জল কম থাকলে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, তাই ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে।

এই খামখেয়ালিপনা আবহাওয়া এবং ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে এই সব সতর্কতা মেনে চলুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর