ব্যুরো নিউজ,১৫ ফেব্রুয়ারি :মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সম্পর্কিত সমালোচনার পর ভারতের পক্ষ থেকে মার্কিন বোরবন হুইস্কির ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে। এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে মার্কিন বোরবন হুইস্কির ওপর ১৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, যা এখন ৫০ শতাংশ কমিয়ে ১০০ শতাংশ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতে জনপ্রিয় মার্কিন ব্র্যান্ড জিম বিমের দাম কমতে পারে।
কলকাতায় হলুদ ট্যাক্সির ঐতিহ্য ধরে রাখবে নতুন সি এন জি ক্যাব
নতুন শুল্ক কমানোর নির্দেশিকা জারি
২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি, ভারত সরকার এই নতুন শুল্ক কমানোর নির্দেশিকা জারি করে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে ব্যবসা করতে গিয়ে তাদের উপর ‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক’ আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, ভারতের উচ্চ শুল্কের কারণে মার্কিন পণ্য ভারতে বিক্রি করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, ভারতের তুলনায় অন্যান্য দেশের চেয়ে মার্কিন পণ্যের ওপর অনেক বেশি শুল্ক ধার্য করা হয়।ট্রাম্প আরও জানান, তিনি তার শুল্ক নীতির আওতায় যে পরিমাণ শুল্ক চাপাবেন, ঠিক তেমনই ভারতীয় পণ্যের ওপরও একই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবেন। তিনি বলেছিলেন, “বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ভারত মার্কিন পণ্যের ওপর অনেক বেশি শুল্ক আরোপ করে।”
এর আগে, ভারতের শুল্ক নীতির বিষয়ে ট্রাম্পের কিছু মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তিনি সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমরা কোনোভাবেই বোকা দেশ নই। ভারতে ১০০ শতাংশ শুল্ক বসানো হচ্ছে, অথচ আমরা তাদের পণ্যের ওপর কোনো শুল্ক চাপাচ্ছি না।” একসময়, তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে ভারতের শুল্ক কমানোর অনুরোধ করেছিলেন এবং তার ফোনের মাধ্যমেই হারলে ডেভিডসনের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছিল। তবে, ট্রাম্প এটিও উল্লেখ করেছিলেন যে, এটি এখনও যথেষ্ট নয়।এই নতুন শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত ভারতের বাণিজ্য নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই শুল্ক কমানো একদিকে যেমন ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতি ঘটাবে, তেমনি ভারতে আমদানির দিক থেকেও এক ধরনের সাশ্রয়ী পরিবেশ তৈরি হবে।
WPL-2025ঃ রিচা-পেরির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আরসিবির দুর্দান্ত জয়
এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসনের কমার্স ডিপার্টমেন্টের মনোনীত প্রধান হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, এ ধরনের পারস্পরিক শুল্কের প্রস্তাব এপ্রিলের আশপাশে কার্যকর হতে পারে। তবে এই উচ্চ শুল্ক পরিস্থিতি শুধুমাত্র ভারতকেই নয়, আমেরিকাকেও অর্থনৈতিকভাবে চাপের মধ্যে ফেলতে পারে। যদি অন্য দেশগুলি মার্কিন পণ্যের ওপর আরো বেশি কর আরোপ করে, তাহলে তা মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াতে পারে, যা এক সময় বাকি দেশের অর্থনৈতিক গতিকে প্রভাবিত করবে।মোটকথা, ভারতের শুল্ক নীতি নিয়ে এই সংশোধন কিছুটা অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সাহায্য করবে, তবে এর পেছনে রয়েছে বড় বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত সম্পর্কের উন্নতি।