ব্যুরো নিউজ,৪ ফেব্রুয়ারি:মহাকুম্ভে পবিত্র দুধস্নান সেরে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন মমতা কুলকার্নি, যিনি কিন্নর আখড়া থেকে মহামন্ডলেশ্বরের তকমা পেয়েছেন। বেশ কিছু বছর দেশের বাইরে থাকার পর, হঠাৎ করেই আধ্যাত্মবাদের পথে নিজেকে নিয়েছেন তিনি। এর কারণ হিসেবে মমতা জানিয়েছেন, মা কালীর নির্দেশেই তিনি এই পথে হেঁটেছেন। তিনি এমনকি নিজেকে মা কালীর রূপ বলে ঘোষণা করেছেন। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
জাতীয় গেমসে বাংলার সাঁতার দলে নতুন বিতর্ক, সৌবৃতি মণ্ডলের অভিযোগ
আধ্যাত্মিক জ্ঞান
মমতার মহামন্ডলেশ্বরের আখ্যা নিয়ে একাধিক বিতর্ক উঠেছে। বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ মমতার এই তকমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেন, সন্ন্যাস গ্রহণের জন্য শুদ্ধ অন্তর এবং দীর্ঘ তপস্যার প্রয়োজন। তাঁর বক্তব্য, “প্রভাব খাটিয়ে কেউ কীভাবে মহামন্ডলেশ্বর হতে পারে? সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য আসলেই তপস্যা ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রয়োজন।”
উড়িষ্যার কাছ থেকে শিক্ষা নেবে কি মমতা ব্যানার্জি?
তবে মমতা পাল্টা দাবি করেছেন যে, তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে তপস্যা করছেন এবং তাঁর বেদ ও শাস্ত্রের জ্ঞান রয়েছে, যা তিনি প্রমাণ করেছেন মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে, মমতা নিজেকে মা কালীর প্রতীকী রূপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং তাঁর আর্থিক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর কাছে এক কোটি টাকাও নেই এবং তাঁর সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “মহামন্ডলেশ্বর হওয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা দেওয়ার খবর একেবারেই মিথ্যা।”
যখন মমতা তাঁর বাজেয়াপ্ত হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্টের কথা বলেন, তখন সঞ্চালক তাঁকে প্রশ্ন করেন, “তাহলে আপনি মা কালীর শক্তি ব্যবহার করে আপনার অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে পারবেন?” উত্তরে মমতা বলেন, “আমি কালীর প্রতীকী রূপ,” এবং তারপর তিনি চুপ হয়ে যান। মমতার এই বক্তব্য এবং তাঁর নতুন আধ্যাত্মিক পরিচয় নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে এবং এর পেছনে নানা রহস্য এবং বিতর্ক চলছে।