ব্যুরো নিউজ,৪ ফেব্রুয়ারি:হামাস ও ইজ়রায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রথম দফা চলাকালীনও পশ্চিম ভূখণ্ড এবং পূর্ব জেরুসালেম-সহ একাধিক অঞ্চলে প্যালেস্টাইনের নাগরিকদের উপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইজ়রায়েল। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৮০০ প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। গাজা সহ বিভিন্ন জায়গায় ইজ়রায়েল জানিয়ে দিয়েছে, তারা শরণার্থী শিবিরগুলোতেও আক্রমণ চালাচ্ছে, এবং চাষাবাদ জমি ও অলিভ গাছগুলোও ধ্বংস করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি, বিশেষ করে পশ্চিম ভূখণ্ড এবং পূর্ব জেরুসালেমে সোমবারের হামলায়, এলাকায় বিরাট ধ্বংসের সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্পের শুল্কনীতি থেকে আপাতত মুক্তি পেল কানাডা, ৩০ দিনের জন্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত
তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ
যুদ্ধবিরতির সময়েও ইজ়রায়েলের এই গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক মহল তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। গাজা এবং ইজ়রায়েল সংক্রান্ত পরিস্থিতির জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বেশ সমালোচিত হচ্ছেন। সম্প্রতি ট্রাম্প বলেন, গাজাবাসীসহ প্রায় ১৫ লক্ষ প্যালেস্টাইনি শরণার্থীর জন্য মিশর ও জর্ডনের সাহায্যে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে এই মন্তব্যের পর, মিশর এবং জর্ডন কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্যালেস্টাইনের জনগণকে তাদের দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে বলা মানে, গোটা জাতির নিঃশেষকরণ। এমন মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উক্ত দেশগুলি।
অসুস্থ অযোধ্যার শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস
এছাড়াও, ইরানও ট্রাম্পের এই বার্তার তীব্র সমালোচনা করেছে। ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ইসমায়েল বাকাইয়ের মতে, আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের অধিকার রক্ষায় সাহায্য করা উচিত। এর সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, “কোনো তৃতীয় পক্ষের” প্যালেস্টাইনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার চেষ্টা করা উচিত নয়।
এদিকে, রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি আমেরিকা যাওয়ার আগে বলেছেন, “আমাদের সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই পশ্চিম এশিয়ার চিত্র বদলে দিয়েছে… শক্তির সাহায্যেই আমরা আমাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং শান্তি বজায় রাখতে সক্ষম হবো।” তিনি আরও বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে কীভাবে জয় লাভ করা যায়, সেই বিষয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৈঠক যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আগেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে নেতানিয়াহুর শক্তির সাহায্যে জয় পাওয়ার বার্তা প্যালেস্টাইনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্যালেস্টাইনিদের মানবাধিকার রক্ষায় এবং তাদের উপরে হামলা বন্ধের জন্য ‘দ্য হেগ গ্রুপ’ নামে একটি সংগঠন সম্প্রতি গঠিত হয়েছে। এই সংগঠন এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো এখন আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে প্যালেস্টাইনিদের উপর হামলা বন্ধ করার চেষ্টা করছে। প্যালেস্টাইনিরা আশা করছেন, আইনের সহায়তায় তারা তাদের অধিকার এবং সুবিচার পাবে।