ব্যুরো নিউজ,৩ ফেব্রুয়ারি:বাংলাদেশের অমর একুশে বইমেলায় সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বইমেলায় একটি ডাস্টবিনের গায়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকৃত ছবি সেঁটানো ছিল। আর সেই ডাস্টবিনের পাশেই দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এই ছবি পোস্ট করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে, যা একেবারে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
ভারতীয় সেনাকে শক্তিশালী করতে কোন অস্ত্রে কত বরাদ্দ করলেন সীতারামন
ফ্যাসিস্ট, গণহত্যাকারী হাসিনার ছবি
এ বছরের অমর একুশে বইমেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি স্টল বসেছিল, যেখানে তারা প্রতিবাদমূলকভাবে ডাস্টবিনের গায়ে হাসিনার বিকৃত ছবি সেঁটেছিল। স্টলটি পরিদর্শন করতে গিয়ে শফিকুল আলম এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ডাস্টবিনের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। এ ঘটনার পর, ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবি পোস্ট করে হাসিনাকে আক্রমণ করেন। তারা লেখেন, “বইমেলায় আসলে আপনার হাতের অপ্রয়োজনীয় ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলতে ভুলবেন না।” পরে আরও একটি পোস্টে তারা লেখেন, “ফ্যাসিস্ট, গণহত্যাকারী হাসিনার ছবি শুধু বইমেলার ডাস্টবিনে নয়, সারা দেশের ডাস্টবিনে ছড়ানো উচিত।”
এই ঘটনার পর, শফিকুল আলম নিজে বইমেলায় গিয়ে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে দেখা গিয়েছেন, এবং পরে তিনি এই ছবি তার সামাজিক মাধ্যমের পেজে পোস্ট করেন। তবে কিছু সময় পর ওই ছবি তার পেজ থেকে মুছে ফেলা হয়।বইমেলায় হাসিনার ছবি-সহ ডাস্টবিনের ছবি ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া এসেছে। অনেকে এটি হাসিনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের উপায় হিসেবে দেখেছেন, আবার অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের ঘটনার ফলে সহিংসতার উসকানি হতে পারে। তারা বলেন, বইমেলায় এমন ধরনের আচরণ পরিশীলিত হতে পারত।
বানতলা ম্যানহোলে দুর্ঘটনাঃ তিন সাফাইকর্মীর মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিতর্ক
এ নিয়ে লেখক তসলিমা নাসরিনও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, এবং লিখেছেন, “এ ধরনের ঘটনা বইমেলা কর্তৃপক্ষের নিম্নরুচির পরিচয়।”এ বিষয়ে বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব সরকার আমিন জানিয়েছেন, “এটা আমাদের নজরে এসেছে। তবে বাংলা একাডেমি মানুষের অভিব্যক্তি প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না।”এ ঘটনায় যদিও অনেকেই এর প্রতিবাদ করেছেন, আবার কিছু মানুষ এটি তাদের স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার বলে মনে করছেন। তবে, এটি স্পষ্ট যে, অমর একুশে বইমেলায় এমন এক বিতর্কিত ঘটনার সৃষ্টি নতুন ধরনের আলোচনা সৃষ্টি করেছে।