ব্যুরো নিউজ,৩ ফেব্রুয়ারি:স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে প্রতিদিনের খাবারে পর্যাপ্ত ভিটামিনের প্রয়োজন। তবে নানা কারণে অনেকের শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন পায় না, যা তাদের সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে পূর্ণ করতে হয়। সম্প্রতি শহুরে সমাজে ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি খুব সাধারণ একটি সমস্যা হয়ে উঠেছে। যদিও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন হচ্ছে, এই সাপ্লিমেন্ট কতটা কার্যকর হচ্ছে?চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, “ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া জরুরি, তবে সেটা কিভাবে খাচ্ছি, কখন খাচ্ছি, সে বিষয়েও অনেক কিছু নির্ভর করে।” সঠিক সময় এবং পদ্ধতিতে সঠিক ভিটামিন খেলে তার সুফল পাওয়া যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ভিটামিন কখন এবং কীভাবে খাওয়া উচিত।
বিশাল স্বাস্থ্য উপকারিতায় ক্যামেল মিল্কঃ জানুন এর চমকপ্রদ উপকারিতা!
ভিটামিন বি১২: খালি পেটে খাওয়া ভালো
ভিটামিন বি১২ একটি জলে দ্রবীভূত ভিটামিন, অর্থাৎ এটি শরীরে সহজে মিশে যেতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন, “ভিটামিন বি১২ খাওয়ার আদর্শ সময় হলো খালি পেটে, অর্থাৎ সকালের খাবার খাওয়ার আগে। এতে ভিটামিনটি সহজে শোষিত হবে।” তবে যদি কেউ খালি পেটে এটি খেতে না পারেন, তবে তিনি প্রাতরাশ খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পরে এটি খাবেন। এর ফলে পেট কিছুটা খালি হয়ে যাবে এবং শরীর তা সহজে গ্রহণ করতে পারবে। এসময় প্রচুর জল পান করা উচিত, কারণ জল এই ভিটামিনকে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি: খাবারের পর গ্রহণ করা উচিত
ভিটামিন ডি স্নেহপদার্থ দ্রাব্য, যার মানে হলো এটি শরীরে শোষিত হতে কিছু ফ্যাটের প্রয়োজন হয়। ভিটামিন ডি খাওয়ার পর খাদ্যগ্রহণের সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকরা জানান, “ভিটামিন ডি খেতে হলে এটি খাওয়ার পর খাবার খাওয়া উচিত।” সকালে খাবার খাওয়ার পর ভিটামিন ডি গ্রহণ করা সবচেয়ে উপযুক্ত। অনেক সময় ভিটামিন ডি-এর গুঁড়ো পাওয়া যায়, যা ক্যাপসুলের তুলনায় সস্তা। তবে গুঁড়ো যদি খেতে চান, তাহলে এটি দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন, কারণ দুধের ফ্যাটে ভিটামিন ডি দ্রবীভূত হয় এবং সহজে শোষিত হয়। তবে, যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ভিটামিন ডি-এর ট্যাবলেট খাওয়াই ভালো।”
ফ্ল্যাট ফুটের(সমতল পা) সমস্যায় ভুগছেন? এই সহজ আসনেই রয়েছে সমাধানের
এভাবে সঠিক সময়ে ভিটামিন গ্রহণের মাধ্যমে আমরা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছাতে পারি, যা আমাদের শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।