ব্যুরো নিউজ,২৮ জানুয়ারি :বর্তমানে শরীরের ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি অনেকের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও বেশিরভাগ মানুষ শুধু ওজনের দিকে মনোযোগ দেয়, কিন্তু এর পাশাপাশি শরীরে অন্য কোথায় কী কী পরিবর্তন ঘটছে, তা নিয়ে তেমন চিন্তা করা হয় না। ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন শরীরের ওজন কমে বা বেড়ে যায়, তার প্রভাব পেশির ওপরও পড়ে। পেশি শক্ত হয়ে গিয়ে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি হালকা হাঁটাচলায়ও অস্বস্তি অনুভূত হয়। কিছু ক্ষেত্রে, ঘুমানোর সময় পেশিতে টান ধরে। পেশি নমনীয় এবং মজবুত করতে হলে শুধু ডায়েট এবং সাধারণ ব্যায়াম নয়, কিছু নির্দিষ্ট যোগাসনও প্রয়োজন।
পেশির নমনীয়তা বাড়ানোর সহজ উপায় হল এই আসন। রোজ অভ্যাস করুন অবশ্যই ফল পাবেন
কি আসন?
তেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হল দণ্ডাসন, যা নিয়মিত অভ্যাস করলে পেশি শক্তিশালী এবং নমনীয় হয়। যোগ প্রশিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এই আসনটি পায়ের ও কোমরের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। দণ্ডাসনের নামই এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘দণ্ড’ থেকে, যার মানে হলো লাঠি। এই আসনটি করতে গিয়ে শরীরের ভঙ্গি এমন হয়ে থাকে, যেন তা দেখতে একটি লাঠির মতো লাগে। নিয়মিত এই আসনটি করতে পারলে শরীরের নানা সমস্যা যেমন পেশির ব্যথা, কোমরের যন্ত্রণা, পায়ের ব্যথা এবং হজমের সমস্যাগুলি সমাধান হতে পারে।
কীভাবে করবেন দণ্ডাসন?
১. প্রথমে ব্রজাসনের ভঙ্গিতে ম্যাটে বসুন। এরপর ধীরে ধীরে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। এ সময় গোড়ালি এবং পায়ের ওপরেই শুয়ে থাকতে হবে। দুই হাত শরীরের পাশে থাকবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
২. তারপর আবার ধীরে ধীরে ম্যাটের ওপর বসুন। এবার দুই পা সামনের দিকে প্রসারিত করুন এবং পায়ের পাতাগুলি মাটিতে রাখুন। দুই হাত মাটিতে রাখুন, নিতম্বের দু’পাশে। কাঁধ, পিঠ, কোমর এবং মেরুদণ্ড টান টান করে রাখুন।
৩. এবার পায়ের আঙুল আকাশের দিকে তুলে রাখুন। গোড়ালি এবং পায়ের পাতার অবস্থান এমন হবে যেন তা সমকোণ সৃষ্টি করে।
৪. পুরো এই প্রক্রিয়াটি এক রাউন্ড হবে। অসুবিধা না হলে এটি পাঁচ বার পর্যন্ত করতে পারেন।
মন শান্ত রাখতে এবং শরীরের ব্যথা কমাতে এই শক্তিশালী আসনটি করুন
কেন দণ্ডাসন করবেন?
দণ্ডাসন শুধু পায়ের এবং কোমরের পেশি মজবুত করতে সহায়ক নয়, এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং পিঠ, কোমর এবং পায়ের পাতার ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি তলপেটের পেশি শক্তিশালী করে, একাগ্রতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং পেশির নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। যারা নিয়মিত এটি করেন, তাদের শরীরের সামগ্রিক অবস্থাও উন্নত হয় এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে অস্বস্তি বা ব্যথা অনেক কমে যায়।
সতর্কতা:
১. যারা হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করেন, তারা দণ্ডাসন করবেন না।
২. গোড়ালিতে চোট বা আঘাত থাকলে এই আসনটি না করা উচিত।