ব্যুরো নিউজ, ২৭ জানুয়ারি:সম্প্রতি মেটা, যেটি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মালিকানাধীন সংস্থা, ঘোষণা করেছে যে তারা ‘থার্ড-পার্টি ফ্যাক্ট চেকিং সিস্টেম’ বন্ধ করতে যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের পরেই গুগলে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট কীভাবে ডিলিট করতে হয়, তা নিয়ে অনুসন্ধানের পরিমাণে ব্যাপক বৃদ্ধি দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি নিরাপত্তার খাতিরে অনেক ব্যবহারকারী সামাজিক মাধ্যম ছাড়ার চিন্তা করছেন। মেটার এই সিদ্ধান্ত, যেখানে ‘থার্ড-পার্টি ফ্যাক্ট চেকিং সিস্টেম’ বন্ধ করার পাশাপাশি বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণের নীতি শিথিল করা হয়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। জাকারবার্গের সংস্থা তাদের ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর উপর বিধিনিষেধও কমানোর পরিকল্পনা করেছে। এই পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এতে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে ঘৃণাভাষণ, ভুয়া খবর, এবং ক্ষতিকারক পোস্টের সংখ্যা বেড়ে যাবে।
গ্রিনল্যান্ড এবং আইসল্যান্ডের মাঝে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত সম্পর্কে পড়ুন
‘ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কীভাবে ডিলিট করবেন’
এর পরেই গুগলে ‘ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কীভাবে ডিলিট করবেন’ এবং ‘ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট কীভাবে ডিলিট করবেন’—এই বিষয়ে অনুসন্ধানের সংখ্যা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে।গুগল ট্রেন্ডস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের সার্চের পরিমাণ আগের চেয়ে পাঁচ হাজার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে কখনো গুগলে এই বিষয়ে এত বেশি সার্চ হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যবহারকারীরা বর্তমানে তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন, এবং সেই কারণে তারা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তারা মেটা প্ল্যাটফর্ম থেকে বিকল্প খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে ফ্যাক্ট চেকিং ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, বিশেষত ২০২১ সালে ক্যাপিটল হামলার পর। তখন থেকে মেটা ভুয়া তথ্যের বিস্তার রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিত। এসব পদক্ষেপে ফ্যাক্ট চেকিং ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার, বিশেষত নির্বাচন এবং জনস্বাস্থ্য সঙ্কটের মতো সময়ে। তবে ৭ জানুয়ারি, মেটা ‘থার্ড-পার্টি ফ্যাক্ট চেকিং’-এর নিয়ম শিথিল করার ঘোষণা দেয়। এটি নিয়ে সমালোচকদের দাবি, এতে প্ল্যাটফর্মগুলিতে বিপজ্জনক এবং আপত্তিকর বিষয়বস্তুর বৃদ্ধি হতে পারে।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন চমকঃ শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে ‘নটীবিনোদিনী’!
এই পরিস্থিতিতে অনেক ব্যবহারকারী এখন মেটার এসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন এবং তাদের পক্ষ থেকে আরও স্বচ্ছতার দাবি উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেটার এই পদক্ষেপের কারণে ব্যবহারকারীরা নতুন সামাজিক মাধ্যম, যেমন ‘ব্লুস্কাই’ এবং ‘মাস্টোডন’-এর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছেন। মাস্টোডনের সিইও, ইউজেন রোচকো, মেটার এই সিদ্ধান্তকে উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন, কারণ এটি দায়িত্বশীল ব্যবহারকারীদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।মেটা অবশ্য এই পদক্ষেপটি বাক্স্বাধীনতার প্রচারের জন্য নেওয়ার দাবি করেছে। সিইও জাকারবার্গ বলছেন, এটি সমাজমাধ্যমে বাক্স্বাধীনতার উন্নতির জন্য একটি প্রয়াস। উল্লেখযোগ্য, একইভাবে ইলন মাস্কও ‘টুইটার’ (এখন এক্স) অধিগ্রহণের সময় বাক্স্বাধীনতাকে প্রধান্য দিয়েছিলেন।