ব্যুরো নিউজ,১৬ জানুয়ারি:তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ টানাপড়েনের মধ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা এসেছে। দলের বৈঠকে মমতা জানিয়ে দেন, তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন তিনি, এবং দল ও সরকার পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব তারই হাতে থাকবে। তিনি বলেন, “আমি যা বলব, সেই মতোই চলতে হবে।” একই দিনে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং দলের সকল সদস্যকে শৃঙ্খলা মেনে চলার পরামর্শ দেন।
পুষ্পা ২: দ্য রুল, আল্লু অর্জুন অভিনীত এই অ্যাকশন সিনেমাটি ২০২৪ সালের সবচেয়ে সফল ছবি
নবীন ও প্রবীণ নেতাদের মধ্যে বিতর্ক
দলের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার মধ্যে নবীন ও প্রবীণ নেতাদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। কাঁথি সমবায় ব্যাংকের বোর্ড গঠন নিয়ে দুটি শিবিরের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। মমতা এই পরিস্থিতিতে জানান, “আরও ১০ বছর আমি দলের নেতৃত্ব দেব।” রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নির্দেশের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন, তাদের জন্য তিনি কঠোর বার্তা দেন। বক্সীকে যে তালিকা দিয়েছেন, তা মমতার তালিকা বলেই উল্লেখ করেন তিনি।অভিষেকও দলের শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলেন, জানিয়ে দেন, ‘‘যে কোনও দলেই মতবিরোধ হয়, তবে যদি কেউ দলের ক্ষতি করে বা অপরাধে জড়িত হয়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ সম্প্রতি প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন ও প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। অভিষেক বলেন, “দলীয় শাস্তি দলের নেত্রী, মমতাদির সিদ্ধান্ত শিরোধার্য।” তবে, শান্তনুর স্বাস্থ্য শিবিরে অংশগ্রহণ নিয়ে অভিষেক জানান, “ব্যক্তিগত জীবনে তিনি যা করবেন, তা তার ব্যাপার।”
বাঘাযতীনের বেআইনি বহুতল: কে দায়ী?
এছাড়া, দলের মধ্যে শিল্পীদের বয়কট নিয়ে বিতর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ শীতকালীন জলসায় সরকারের বিরোধী শিল্পীদের বয়কটের কথা বলেছিলেন, কিন্তু অভিষেক তা খারিজ করে দেন। এর ফলে দু’তরফে টানাপড়েন অব্যাহত রয়েছে। কুণাল জানান, ‘‘সরকারের বিরোধিতায় আমার কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু যাঁরা আক্রমণ করছিলেন তাদের নিয়ে আপত্তি ছিল।’’ কুণাল আরও দাবি করেন, “আমি মমতাকে হাসপাতাল নিয়ে গিয়েছিলাম, সেই সময় আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো ছিল।” তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং নেতৃত্বের মতভেদের মাঝে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এবং এই সমস্যার সমাধান নিয়ে প্রশ্ন এখনও উঁকি দিচ্ছে।