ব্যুরো নিউজ,১১ জানুয়ারি:বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি, মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সংস্কার কর্মসূচির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে। তারা দাবি করছে, ইউনূস সরকারের সংস্কার কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হবে না এবং তা অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিতেই হবে। সম্প্রতি বিএনপি নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা নির্বাচিত সরকার এবং সংসদ ছাড়া কোনো ধরনের সংস্কারকে মানবে না, কারণ তাদের মতে, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা না থাকলে সংস্কার কার্যক্রম অবলুপ্ত হয়ে যাবে।
২৫ বছর পর কহো না পেয়ার হ্যায় সিনেমার পুনঃমুক্তি ঃ আমিশা প্যাটেলের স্মৃতিচারণ , কি বললেন অভিনেত্রী?
সংস্কার কার্যক্রম কার্যকর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, “নির্বাচিত সরকার এবং সংসদ ছাড়া কোনো সংস্কার কার্যক্রম কার্যকর হতে পারে না।” তার মতে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রথম ধাপ হচ্ছে নির্বাচন এবং তেমন একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সংস্কারের কাজ শুরু করতে হবে। বিএনপি এই সময়কালে ভেবে দেখছে, সরকারের সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরও প্রভাব রয়েছে।বিএনপির দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, সরকার জামায়াত ও ছাত্রদের সংঘাতে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং তারা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে নতুনভাবে দেখতে হবে। জামায়াতের সদস্যরা পুরনো সংবিধান খারিজ করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবিতে সোচ্চার রয়েছে। তবে এই দৃষ্টিভঙ্গি বিএনপির জন্য সংকট সৃষ্টি করেছে, কারণ তারা এখনও বিশ্বাস করে যে, জামায়াত তাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক শরিক ছিল।
এবছর প্রথম শনি প্রদোষ ব্রত আগামীকাল। করুন এই কাজগুলি। সংসারে আর্থিক সংকট হবে না
বিএনপি নেতারা জামায়াতের সাথে সম্পর্কের মধ্যে একটি সুরক্ষা কৌশল হিসেবে তাদের সাথে কাজ করতে চেয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, বিএনপির নেতৃত্বে এখনো অনেকেই মনে করেন, জামায়াতের ভূমিকা ও তাদের পক্ষ থেকে নতুন জোট তৈরির পরিকল্পনা বিএনপির রাজনীতিকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দিতে পারে।যদিও বিএনপি ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ের আশা করছে, তবে সাম্প্রতিক কিছু সরকারী পদক্ষেপ তাদের অবস্থানকে আরও জটিল করে তুলেছে। ছাত্র আন্দোলন এবং স্থানীয় নির্বাচনের দিকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তাতে বিএনপি মনে করছে, তাদের অন্তর্দ্বন্দ্বকে আরও ঘনীভূত করা হচ্ছে। এর ফলে বিএনপি প্রথমে সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে, যাতে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা শেষ করা সম্ভব হয়।