ব্যুরো নিউজ,৭ জানুয়ারি:ভারতে সম্প্রতি হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণের খবর মিলেছে। বেঙ্গালুরুর দুটি শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা চিনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই ভাইরাস নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি কোভিডের মতো প্রাণঘাতী হতে পারে?একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘‘এইচএমপিভি কোনো নতুন ভাইরাস নয়। এটি আমাদের পরিচিত ভাইরাসগুলির মধ্যে একটি। শীতকালে অনেক দেশের মতো ভারতে এটি বাড়তে দেখা যায়, এবং এর সংক্রমণ সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে সেরে যায়।’’
আবার লকডাউন? কি বলছে আইসিএমআর?
চিকিৎসকরা কি বলছেন?
তিনি আরো বলেন, ‘‘যেমন সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা লাগলে আমাদের পরীক্ষা না করেই বোঝা যায় যে এটি কোনো ভাইরাসের কারণে হয়েছে, তেমনি এই ভাইরাসও।”চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, ‘‘এই ভাইরাস সাধারণত চার থেকে চোদ্দো বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে বেশি ছড়ায়। তবে ছোট শিশুরা, বিশেষত সদ্যোজাতরা, তাদের মায়ের অ্যান্টিবডি দ্বারা কিছুটা সুরক্ষিত থাকে।’’ তিনি বলেন, ‘‘তবে যদি বড় বয়সি শিশুদের জ্বর, সর্দি বা কাশি হয়, তাদের স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। স্কুল, বাস, মেট্রো বা পুল কারে মাস্ক পরানোও গুরুত্বপূর্ণ।’’ অ্যালার্জি, হাঁপানি বা অন্যান্য জটিল রোগের আক্রান্ত শিশুরা এই ভাইরাসের সংক্রমণে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে, তাই তাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া উচিত।আরও একজন চিকিৎসকও এই ভাইরাসকে কোভিডের মতো প্রাণঘাতী নয় বলে জানিয়েছেন, তবে শিশুদের ও বয়স্কদের জন্য সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি কিছু সতর্কতা শেয়ার করেছেন:
ভারতে শীঘ্রই আসছে বুলেট ট্রেন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
১) পরিচ্ছন্নতা: যে কোনো ভাইরাস প্রতিরোধের জন্যে পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত জরুরি। হাত ধোয়া, বিশেষ করে খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
২) বাইরে থেকে আসার পর: বাইরে থেকে আসার পর সাবান দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে পোশাক পরিবর্তন করা উচিত।
৩) অ্যালার্জির প্রবণতা: যেসব বাচ্চার অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের মাস্ক পরিয়ে বাইরে বের হতে হবে।
৪) ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমণ: এই ভাইরাস হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সর্দি-কাশি আক্রান্ত কাউকে কাছাকাছি যেতে দেওয়া উচিত নয়, এবং এটি শিশুদের বুঝিয়ে বলা উচিত।
এতদিনে ভারতের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, এই ভাইরাসে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে কিছু সাধারণ সতর্কতা পালন করলে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।