ব্যুরো নিউজ ,২৫ ডিসেম্বর:কিছু বছর আগে সন্ধ্যার পর গ্রাম-গঞ্জের আকাশে আলো ঝলমল করত জোনাকি পোকা। কিন্তু এখন সেই দৃশ্য প্রায় চোখে পড়ে না। বিগত কিছু বছরে এই আলোর বাহক নিশাচর পোকা দিনদিন নিভিয়ে ফেলছে নিজেদের আলো। জোনাকি বা ফায়ার ফ্লাই মূলত বিটল শ্রেণির বাদামি পোকা, যা দেখতে অনেকটা লম্বাটে এবং প্রায় দুই সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে। এর শরীর তিন ভাগে বিভক্ত এবং পেটের পেছনে থাকে আলোর জ্বলা অংশ।
বাঘিনী জিনাতকে ধরতে নানান পশুর টোপ, তবুও অধরা সে
কারণ
স্থলচর প্রাণিদের মধ্যে একমাত্র জোনাকি পোকাই আলো জ্বালানোর ক্ষমতা রাখে। দিনে এই পোকাগুলি ঝোপঝাড়, লতা-ঘাস এবং জলাশয়ে লুকিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ছোট প্রাণী বা পচা আবর্জনা খেয়ে বেঁচে থাকে। তবে, বয়স্ক জোনাকিরা গাছের ফুল, ফল এবং মধু খেতে পছন্দ করে।গ্রামাঞ্চলে একসময় ঝোপঝাড় ও বাঁশবাগান ছিল, যেখানে জোনাকি পোকা ছিল প্রচুর। কিন্তু এখন ঝোপঝাড় ও বাঁশবাগান কমে গেছে এবং মানুষের ঘনবসতি বেড়েছে। এ ছাড়া জোনাকির বিলীনের কারণ হিসেবে ইলেকট্রিকের তীব্র আলো,দূষণ, পরিবেশগত পরিবর্তন এবং মানুষের প্রকৃতির ওপর অত্যাচার বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে বনায়ন বৃদ্ধি করা এবং জৈবিক বৈচিত্র্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন জরুরি।
উৎসবের মরসুমে পেটের গোলমাল? খুব সহজেই মিলবে সমাধান
কিছু বছর আগে জোনাকি পোকা দেখা যেত, তবে বর্তমানে তার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে আলোকদূষণ, কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থের অতিরিক্ত প্রয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের অভাব দায়ী বলে মনে করেন পরিবেশ প্রেমীরা।এই সমস্যাগুলি সমাধান করতে হলে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রকৃতি সংরক্ষণে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।