ব্যুরো নিউজ ,২৫ ডিসেম্বর:বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে যে কূটনৈতিক বার্তা (নোট ভার্বাল) পাঠিয়েছে, তার আইনি বৈধতা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণে ব্যস্ত নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এমন আবেদনের ক্ষেত্রে আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখা অত্যন্ত জরুরি। দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না, তবে ‘যথাসময়ে’ উত্তর দেওয়া হবে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিষয়টির পুরোপুরি সমাধানে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
ইরানে ইন্টারনেটের কড়াকড়ি শিথিল: হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
গণতান্ত্রিক নির্বাচন
নয়াদিল্লির মতে, এই বার্তা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সাম্প্রতিক পরিবেশের সঙ্গে খাপ খায় না। বিশেষ করে যখন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রীর ঢাকা সফরের পরে সম্পর্কের উন্নতির আশা করা হয়েছিল। আইনত, রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়া কোনও ব্যক্তিকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরত পাঠানো বাধ্যতামূলক নয়। পাশাপাশি, দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ভারতের অবস্থান আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে, যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়।ইরানের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলিও এই পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করছে। দেশের অর্থনৈতিক মন্দা, হাজার হাজার শ্রমিকের ছাঁটাই এবং বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে জনগণের ক্ষোভ তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার একটি জাতীয়তাবাদী তাস খেলতে চাইছে, যাতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করা যায়।
ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ভারত স্পষ্ট করেছে যে, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, দ্বিপাক্ষিক শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক, এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী রপ্তানি অব্যাহত রাখা ভারতের দীর্ঘমেয়াদি নীতির অংশ।বিদেশ মন্ত্রক মনে করছে, আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর বাংলাদেশে সরকারের ভূমিকা বা অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আসে কিনা, তা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। পাশাপাশি, পাকিস্তান ও চিনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা সম্পর্কেও তদন্ত চালানো হবে।ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট— বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে এগিয়ে যেতে হবে।