ব্যুরো নিউজ,২৩ ডিসেম্বর:শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ফিরে আসছে। বাউল সঙ্গীত, হস্তশিল্প প্রদর্শনী এবং নানা শিল্পীর উপস্থিতিতে আবারও মুখর হয়ে উঠবে মেলা প্রাঙ্গণ। পৌষমেলার যাত্রা শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, আর তার পর থেকেই শান্তিনিকেতনকে সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে এই মেলা।
সোনালী শাড়িতে রাজকীয় বিয়ে পিভি সিন্ধুর, উদয়পুরে বিয়ের অনুষ্ঠান
কারণ জানুন
১৮৪৩ সালের ২১ ডিসেম্বর মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে প্রথম দীক্ষাগ্রহণ করেন এবং ৭ পৌষ দিনটি ব্রাহ্মধর্মের সূচনা দিবস হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে, পৌষমেলার শুরুতে এক বিশেষ ঘটনা রয়েছে। ১৮৪৫ সালে, দীক্ষাগ্রহণের দুই বছর পর, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ প্রথমবার একটি উৎসবের আয়োজন করেন, যা পরে পৌষ উৎসব হিসেবে পরিচিত হয়। এটি শান্তিনিকেতনে নয়, বরং গোরিটির বাগানবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।পৌষ উৎসব ও পৌষমেলা এক নয়। পৌষ উৎসবের আয়োজন ছিল মূলত ব্রাহ্মধর্ম প্রচারের জন্য, যেখানে ধর্মীয় আলোচনা ও আলোচনা কেন্দ্রিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তবে পৌষমেলার পরিকল্পনা ছিল দীর্ঘদিন ধরে। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ডিডে এই মেলার পরিকল্পনা উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, মেলায় কোনো ধরনের পৌত্তলিক আরাধনা হবে না, এবং মেলাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় আলোচনা ও আধ্যাত্মিক উত্সাহ সৃষ্টি করা।১৮৯৪ সালে, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের ইচ্ছা অনুসরণ করে, প্রথমবার শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আয়োজন করা হয়, এবং তা প্রতি বছর ৭ পৌষে অনুষ্ঠিত হতে থাকে। তবে মহর্ষি নিজে কখনো পৌষমেলায় অংশগ্রহণ করেননি, কারণ ১৮৮৩ সালে তিনি শান্তিনিকেতন পরিদর্শন করেছিলেন, এবং পৌষমেলা শুরু হয়েছিল ১৮৯৪ সালে।
২০২৫-এ শশ রাজযোগ? কোন কোন রাশির ভাগ্য খুলবে জেনে নিন
২০২৪ সালে শান্তিনিকেতনে অনুষ্ঠিত হবে পৌষ উৎসবের ১২৯তম বছর এবং পৌষমেলার ১২৬তম বর্ষপূর্তি। গত পাঁচ বছর মেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি, তবে এবার আবার মেলা শুরু হতে চলেছে। পৌষ উৎসবের ১২৯তম বর্ষ উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, যা শান্তিনিকেতনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করবে।শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা এবং পৌষ উৎসবের ঐতিহ্য বরাবরই জেলার এবং দেশের সাংস্কৃতিক চর্চার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বাউল গান, হস্তশিল্পের প্রদর্শনী, শিল্পীদের উপস্থিতি এই মেলাকে এক বিশেষ স্বাদ প্রদান করে, যা শান্তিনিকেতনকে আন্তর্জাতিক পরিসরে আরও পরিচিত করেছে।