গীতা জয়ন্তীর তাৎপর্য

ব্যুরো নিউজ ,১৯ ডিসেম্বর:গীতা জয়ন্তী হিন্দু ধর্মে এক গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক দিন। কাহিনি অনুসারে, মহাভারতের সময় কুরুক্ষেত্রে মোক্ষদা একাদশীর দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে গীতার উপদেশ দিয়েছিলেন। এই গীতা শুধুমাত্র একটি গ্রন্থ নয়, বরং সমস্ত বেদ, উপনিষদ এবং পুরাণের সারমর্ম। তাই গীতা জয়ন্তী পালনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।

জ্যোতিষশাস্ত্রে বিছানা নিয়ে কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে, যা মেনে চললে সংসারের সুখশান্তি বজায় থাকে।জেনে নিন সেগুলো কি কি?

গীতা জয়ন্তীতে কী করবেন:

  • উপবাস: মোক্ষদা একাদশীতে উপবাস পালন করুন। এটি পূর্বপুরুষদের মোক্ষলাভে সহায়ক এবং বাড়িতে শান্তি বজায় রাখে।
  • ঘর পরিষ্কার রাখুন: উপাসনার স্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করে শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করুন।
  • পুজোর আয়োজন: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করুন এবং গীতার যে কোনও একটি অধ্যায় পাঠ করুন।
  • যোগব্যায়াম: যোগব্যায়াম চর্চা করুন, যা মনকে শান্তি দেয় এবং আত্মাকে উন্নত করে।
  • গীতা পাঠ: পরিবারের সবাই মিলে গীতা পাঠ করুন। সম্ভব হলে মন্দিরে গিয়ে গীতা পাঠ শুনুন।

গীতা জয়ন্তীতে কী করবেন না:

পোশাকের রঙে কি জড়িয়ে আছে আপনার জীবনের সাফল্য? কি বলছে সে জ্যোতিষ শাস্ত্র?

  • মাটিতে গীতা রাখবেন না: শ্রীমদ্ভগবদগীতাকে সর্বদা স্ট্যান্ডে রাখুন এবং পরিষ্কার লাল কাপড়ে মুড়ে রাখুন।
  • নোংরা হাতে স্পর্শ করবেন না: স্নান না করে বা নোংরা হাতে গীতার স্পর্শ করা নিষিদ্ধ।
  • অধুরা পাঠ করবেন না: একটি অধ্যায় শুরু করলে সম্পূর্ণ পড়ে তবেই উঠুন।
  • স্মরণ ছাড়া পাঠ নয়: ভগবান গণেশ ও শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ না করে গীতা পাঠ শুরু করবেন না।

গীতা জয়ন্তীর দিন উপবাস, যোগব্যায়াম এবং পুজোর মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ গ্রহণ করুন। এই দিনটি জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়ার এক মহান সুযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর