ব্যুরো নিউজ,১৭ ডিসেম্বর:সন্তান লালনপালনে বাবা-মায়ের বিভিন্ন মত থাকলেও “লাইট হাউস পেরেন্টিং” আজকের সময়ে বেশ জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে অভিভাবকরা সবসময় সন্তানের পাশে থাকেন কিন্তু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন না। সন্তানের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশ দেওয়া হয়।
কলকাতার একেবারে কাছেই ঘুরে আসুন একদিনের জন্য বাঁকিপুটের শান্ত পরিবেশে
মূলনীতি
- নিঃশর্ত ভালোবাসা: সন্তানের প্রতি ভালোবাসা থাকলেও অন্যায় আবদার বা আচরণ প্রশ্রয় দেওয়া নয়।
- বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা: বাবা-মায়ের প্রত্যাশা যেন চাপ হয়ে না দাঁড়ায় সেটা সন্তানের সামনে স্পষ্ট করা জরুরি।
- সুরক্ষা: ছোটখাটো সমস্যার সমাধান নিজের মতো করতে শেখানো।
- সমস্যার সমাধান নয়, দিশা দেখানো: শিশুকে স্বাধীনভাবে ভাবতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করা।
- সহজ সম্পর্ক: এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে সন্তান যেকোনো কথা নির্দ্বিধায় বলতে পারে।
কেন এটি প্রাসঙ্গিক?
২০১৫ সালে অধ্যাপক কেনস গিনসবার্গ এই ধারণা তুলে ধরেন। তার মতে অতিরিক্ত নজরদারি বা অতিরিক্ত স্বাধীনতা দুটিই ক্ষতিকর। বরং এর মাঝামাঝি একটি পন্থা শিশুকে আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্ববান করে তোলে।
শীতকালে বয়স্কদের সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় টিপস
২-৩ বছর থেকেই শিশুর মতামত ও অনুভূতি প্রকাশ শুরু হয়। তাই ছোট বয়স থেকেই এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উপকার মেলে।সব শিশুর পরিণত মন একই বয়সে তৈরি হয় না। তাই অতিরিক্ত স্বাধীনতা বা সীমিত হস্তক্ষেপের ভারসাম্য বাবা-মাকে বুঝে নিতে হবে।এই পদ্ধতিতে বেড়ে ওঠা শিশুরা আত্মবিশ্বাসী, দায়িত্ববান, এবং সামাজিক মেলামেশায় পারদর্শী হয়।লাইট হাউস পেরেন্টিং শাসন ও স্বাধীনতার মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে, সন্তানের মানসিকতা অনুযায়ী এই পদ্ধতি প্রয়োগ করাই মূল চাবিকাঠি।