এক দেশ এক ভোট

ব্যুরো নিউজ,১৭ ডিসেম্বর:মোদী সরকার ‘এক দেশ এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন) নীতি কার্যকরের চূড়ান্ত পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার লোকসভায় এই সংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই শাসক দল বিজেপি ও এনডিএর সাংসদদের সংসদে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই নীতির জন্য ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে কেন্দ্র। চলতি মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কমিটির রিপোর্ট অনুমোদিত হওয়ার পর শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আট খণ্ডে বিভক্ত ১৮ হাজার পাতার বিশাল এই রিপোর্টে লোকসভা ও বিধানসভার ভোট একসঙ্গে করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সংসদে সরব বিরোধীরা, স্মরণ ইন্দিরার অবদান

ব্যয় হ্রাস


মোদী সরকারের যুক্তি, একযোগে নির্বাচন হলে ব্যয় হ্রাস পাবে, প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত হবে এবং বারবার নির্বাচনী বিধির কারণে উন্নয়ন প্রকল্প থমকে থাকার সমস্যা মিটবে। তবে বিরোধী দলগুলো শুরু থেকেই এই নীতির সমালোচনায় সরব। কংগ্রেস, তৃণমূল এবং সিপিএম নেতারা দাবি করেছেন এটি ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল ভাবনার পরিপন্থী।বিরোধীদের আশঙ্কা, একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট হলে কেন্দ্রীয় রাজনীতির প্রভাব আঞ্চলিক রাজনীতিকেও গ্রাস করবে। তারা আরও অভিযোগ করেছেন, এর মাধ্যমে বিজেপি তাদের আক্রমণাত্মক প্রচারের সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করার কৌশল নিচ্ছে।

বিজয় দিবস: স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিতর্ক

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে এই নীতি কার্যকর হলে আঞ্চলিক দলগুলির পক্ষে আসন সমঝোতা কঠিন হবে। তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে ভবিষ্যতে এই নীতি পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটেও প্রযোজ্য হতে পারে যার ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কার্যত ক্ষুণ্ণ হবে।এছাড়া নির্বাচিত সরকার পাঁচ বছরের আগে ভেঙে গেলে কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। মোদী সরকারের দাবি, এই পরিকল্পনা ২০২৯ সালের পরে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হবে। নীতি আয়োগ, আইন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন এই ভাবনাকে সমর্থন করেছে বলে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর