ব্যুরো নিউজ,১১ ডিসেম্বর:পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসক আন্দোলনের অন্যতম মুখ আসফাকুল্লা নাইয়া সম্প্রতি একটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। অভিযোগ প্রথম বর্ষের ট্রেনি হয়েও তিনি একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ’ পরিচয়ে রোগী দেখেছেন। এই অভিযোগ তুলেছে জুনিয়র ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন।তারা বলেছেন যে এটি ডিগ্রি জালিয়াতি এবং নিয়মবহির্ভূত কাজ।
মন্দারমণির বেআইনি হোটেল ভাঙা স্থগিত, নতুন শুনানি জানুয়ারিতে
শ্রীশ চক্রবর্তীর অভিযোগ
তবে আসফাকুল্লা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সরাসরি খারিজ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে তিনি বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা করেছেন এবং কোনো অর্থ নেননি। ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি বলেন রোগীর কষ্ট দূর করা সবসময় পুণ্যের কাজ। যদি সঠিক চিকিৎসা করা হয়, সেটা টাকা নিয়ে হোক বা বিনামূল্যে। নিয়মের বাইরে গিয়ে ভালো কাজ করা অপরাধ নয়।তিনি আরও বলেন পিজিটি বা সিনিয়র রেসিডেন্টদের মতো আমাদের প্রতিদিন অসংখ্য রোগী দেখতে হয়। রোগী দেখে-দেখে শেখা হয়। এর বাইরে যদি কেউ রোগী দেখেন, সেটাকে অপরাধ বলে মনে করি না।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জিতে হাইকোর্টে সওয়াল আইনজীবীদের
তবে জুনিয়র ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য শ্রীশ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন যে হুগলির সিঙ্গুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আসফাকুল্লা ‘বিশেষজ্ঞ ডাক্তার’ পরিচয়ে রোগী দেখতেন যা পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘন করে। তারা এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপের দাবি তুলেছে।আসফাকুল্লা বলেন কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়েছেন, তাহলে তিনি ডাক্তারি ছেড়ে দেবেন। তবে তার দাবি রোগীর সেবা করার জন্য নিয়মের বাইরে যাওয়া কখনোই অপরাধ হতে পারে না।