ব্যুরো নিউজ, ৫ ডিসেম্বর : মহিলারা প্রায়ই তাদের পরিবারের শিশু এবং বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করেন।কিন্তু প্রাইভেট পার্টসের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা না করার কারণে সমস্যাগুলো আরও জটিল হয়ে পড়ে। একটি সাধারণ সমস্যা যেটি মহিলাদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায় তা হলো যোনিপথের শুষ্কতা ।বিশেষ করে শীতকালে বা যৌন মিলনের সময় অনেক মহিলাই যোনিপথে শুষ্কতা ও ব্যথা অনুভব করেন যা যৌন মিলনের সময় জ্বালাপোড়া এবং অসহ্য ব্যথার কারণ হতে পারে। তবে যোনিপথের শুষ্কতা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও যদি এটি সময়মতো চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি মহিলাদের স্বাস্থ্য জন্য গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।
নিয়মিত এই পাঁচটি খাবার খেলে বীর্য হবে গাঢ় ও ঘন, বাড়বে যৌন ক্ষমতা।
যোনি শুষ্কতার কারণ
যোনি শুষ্কতার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো মেনোপজ বা প্রি-মেনোপজ। এই সময়ে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমে যায়, যার ফলে যোনিপথের ত্বক পাতলা হয়ে যায় এবং শুষ্ক হয়ে পড়ে। ডাক্তারি ভাষায় এই পরিস্থিতিকে অ্যাট্রোফি বলা হয়। এর ফলে যোনিপথের নমনীয়তা কমে যায় এবং মহিলারা শুষ্কতা ও ব্যথার অনুভূতি পান, বিশেষ করে যৌন মিলনের সময়।
যোনি শুষ্কতা থেকে মুক্তির উপায়
দম্পতিদের এই ৬টি ভুলের কারনেই যৌন জীবনে খারাপ প্রভাব পড়ছে , কি সেই কারণ ?
যোনি শুষ্কতা কমাতে কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে, যেগুলো প্রতিদিন অনুসরণ করলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে:
- শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা: শরীরের পানির অভাব যোনিপথের শুষ্কতার একটি বড় কারণ। তাই প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত, যা যোনিপথের নমনীয়তা বজায় রাখে।
- গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন: যদি যোনি শুষ্কতার কারণ সংক্রমণ হয়, তবে অবিলম্বে একজন গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
- দই খাওয়া: দই প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক, যা যোনি স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটি সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে এবং যোনি শুষ্কতার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
- ভিটামিন ই গ্রহণ: ভিটামিন ই যোনির তৈলাক্ততা বাড়ায় এবং শুষ্কতা কমায়। অ্যাভোকাডো, ফ্ল্যাক্সসিড এবং কুমড়োর বীজ খেলে এই সমস্যায় উপকার পাওয়া যেতে পারে।
- ব্যায়াম: নিয়মিত শরীরচর্চা শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং যোনিপথের শুষ্কতা কমাতে সহায়ক।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে আপনি যোনি শুষ্কতা সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং স্বাস্থ্যের দিকে আরও সচেতন হতে পারবেন।