ব্যুরো নিউজ,৩ ডিসেম্বর:ভারত সরকার ‘স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন লাইসেন্স’ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়মগুলি শিথিল করতে পারে।বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ভারত সরকার আগামী দিনে মোট ৩০ থেকে ৪০টি লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।যদি এমনটি হয় তবে মার্কিন উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক এবং জেফ বেজোসের অ্যামাজন কুইপার সংস্থাগুলোর জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হয়ে উঠবে।তারা ভারতে স্যাটেলাইট পরিষেবা প্রদান করতে পারবে এই সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে। স্টারলিঙ্কের সঙ্গে ভারত সরকারের সহযোগিতার সম্পর্ক সম্প্রতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র তৈরি জিস্যাট-২০ উপগ্রহটি সম্প্রতি স্টারলিঙ্কের রকেটে চড়তে পেরেছে এবং এটি সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই যৌথ কর্মকাণ্ডের পর ভারতের স্যাটেলাইট পরিষেবা বাজারে স্টারলিঙ্কের প্রবেশে আরও বাধা কাটানোর সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
ভারতের প্রথম গগনযান মিশনঃ মহাকাশে মানবযাত্রার নতুন দিগন্তের উন্মোচন
আর্থিক মূল্য
যতদূর জানা যাচ্ছে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন লাইসেন্স দেওয়ার নিয়মাবলী শিথিল করার জন্য গত ২৯ নভেম্বর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আইন-শৃঙ্খলা ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বৈঠকটি প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিরাপত্তা নীতির কিছু শিথিলতার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ছিল। এর উদ্দেশ্য হল দেশের স্যাটেলাইট পরিষেবা কার্যক্রমে গতি আনা এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা।স্টারলিঙ্ক এবং অ্যামাজন কুইপার উভয়ই ভারতে টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে তবে তাদের আবেদন এখনও অনুমোদন পায়নি।একাধিক সূত্রের দাবি ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়মাবলী এই লাইসেন্স প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করছে।যদিও স্টারলিঙ্ক তাদের দাবি জানিয়েছে যে ভারত সরকারের নিয়মাবলী আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।ভারতের কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এই বিষয়ে আগেও মন্তব্য করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন স্টারলিঙ্ক তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র এখনও পায়নি। তবে যখন তারা ভারতের আইন অনুযায়ী অনুমোদন পাবে তখনই তাদের ভারতে সেবা দেওয়ার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হবে।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কটঃ প্রতিবাদের নতুন অধ্যায়
বর্তমানে ভারতের স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন সেবা প্রদানকারী প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভারতী এন্টারপ্রাইসেস সমর্থিত ইউটেলস্যাট অনওয়েব এবং রিলায়েন্স জিও’র যৌথ উদ্যোগ রয়েছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠান লুক্সেমবার্গের স্যাটেলাইট ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের সেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে ভারতে স্যাটেলাইট পরিষেবা প্রদানের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে।ভারতীয় সংস্থাগুলি এখন দাবি করছে স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বণ্টন প্রক্রিয়া কেবলমাত্র নিলামের মাধ্যমে করা হোক যাতে তারা শহরে খুচরো গ্রাহকদের সেবা প্রদান করতে পারে।তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবের প্রতি আগ্রহ নেই।তাদের মতে, এই পরিষেবা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে প্রশাসনিক স্তরে বেছে নেওয়া হবে এবং সেই সংস্থাকে আর্থিক মূল্য চোকাতে হবে।