ব্যুরো নিউজ,২ ডিসেম্বর:দশদিন আগে ঢাকায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার মুখে পড়লেন যুবক।রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরলেন উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার বাসিন্দা সায়ন ঘোষ।তিনি তার বন্ধুর সঙ্গে ঢাকার বাজারে বেরিয়েছিলেন, আর সেখানে আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী তাদের ঘিরে ধরে। ভারত থেকে গিয়েছেন শুনে সায়নের উপর শুরু হয় হামলা। প্রকাশ্য রাস্তায় মারধরের শিকার হয়ে রক্তাক্ত সায়ন কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে দেশে ফিরে আসেন।
মিড-ডে মিলে ডিমের বরাদ্দঃ একটা গোটা ডিম কি পড়ুয়াদের পাতে পড়বে?
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
২৩ নভেম্বর ঢাকায় পৌঁছানোর পর, সায়ন ২৬ তারিখ দেশে ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন।কিন্তু তার আগেই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা।সায়ন এবং তার বন্ধু ঢাকার বাজারে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন।এমন সময় একদল লোক তাদের ঘিরে ধরে।ভারতীয় নাগরিক জানার পরই হামলা শুরু করে। রাস্তায় প্রচুর মানুষ ছিল,কিন্তু কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। শেষ পর্যন্ত সায়নের বন্ধু দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুষ্কৃতীদের পিছু হটতে বাধ্য করেন। কিন্তু ততক্ষণে সায়ন রক্তাক্ত হয়ে পড়েন।ঘটনার পর সায়ন থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে চেয়েছিলেন। তবে পুলিশ প্রথমে তাকে চিকিৎসা করিয়ে আসতে বলেছিল এবং তারপরে তাকে সাহায্য করা হয়নি। আহত অবস্থায় সায়ন ও তার বন্ধু একের পর এক হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা পাননি। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে সায়ন চিকিৎসা নেন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন এবং টাকা-পয়সা সবকিছু কেড়ে নেয়।
বিরাটি স্টেশনে হকার উচ্ছেদ নিয়ে তুমুল উত্তেজনা, রেল অবরোধে অচল হাবড়া লোকাল
ভয়ে ভয়ে, রক্তাক্ত অবস্থায় সায়ন গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে আসেন। দেশে ফিরে আসার পর, তিনি বেলঘরিয়া থানায় এবং গেদে সীমান্তে শুল্ক অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও, তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসে অভিযোগ জানাতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।সায়ন এখন আতঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। শুধু নিজেই নয়, বাংলাদেশে তার বন্ধুর নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা করছেন। তার এই অভিজ্ঞতা সবার কাছে তুলে ধরার পর, ভারত সরকারও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বার বার সে দেশের সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব।